ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘শেখ হাসিনা’ সড়কের ইট-ব্লক চুরি

রাস্তার মালামাল চুরি করে বাড়ির কাজ!
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নির্মাণাধীন সড়ক। সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক। বিল-হাওরের বুক চিড়ে জেলা সদরের সাথে একটি উপজেলার সংযোগ স্থাপন ছিলো গোটা এলাকাবসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। সাংসদ র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় ‘শেখ হাসিনা’ সড়ক নামে বাস্তবায়ণ হতে যাওয়া জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে ইট-ব্লক তুলে নিয়ে বাড়ির কাজে ব্যবহারের অভিযোগ মিলেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বরারর হয়েছেে লিখিত অভিযোগ।
দাখিলকৃত অভিযোগে বলা হয়, নির্মাণাধীন সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের মণিপুর থেকে বোয়ালিয়া অংশে ব্যবহৃত ইট-ব্লক চুরি করে নিজেদের বাড়িতে স্তুপ করাসহ বাড়ির কাজে লাগাচ্ছে কতিপয় লোক। তন্মধ্যে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মণিপুর গ্রামের মো. সেলিম মিয়া, মো.সাইফুল ইসলাম, মো. আমিন উদ্দিন ওরফে ছোটন, আতকাপাড়া গ্রামের হৃদয় আহমেদ জালাল’র নামোল্লেখ করা হয় অভিযোগে।
অভিযোগকারী মণিপুর গ্রামের মো. জাকির হোসেন জানান, উল্লেখিত সড়কটি জেলা সদরের সঙ্গে বিজয়নগর উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে নির্মিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ওইসব লোকজন এ সড়ক থেকে মালামাল চুরি করে সরকারের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি করছে। তাছাড়া সড়কের নির্মান সামগ্রী চুরিতে জড়িতরা মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধেও সম্পৃক্ত। এদিকে রামপুর-মনিপুর সড়কের বন্দরবাজার এলাকায় আতকাপাড়া গ্রামের হৃদয় আহাম্মদ জালাল ও মণিপুর গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম দুইটি দোকান ঘর নির্মাণ করে রাস্তা দখল করেছে বলে অভিযোগ দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকের কাছে। এছাড়া মনিপুর গ্রামের মো. সেলিম ওই রাস্তায় ইট ও ব্লক স্তুপাকারে রেখে ব্যবসা করছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী শিরাজুল ইসলামের মোবাইলে ফোন করেও এ বিষয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।