পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর কচুপাতায় ঢাকা,২য় দিনে মাটিচাপা
প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার বরুড়ায় পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর কচুপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয় শিশু ইব্রাহিম খলিলের(৭) মরদেহ। ২য় দিন সেই মরদহে নির্জন বাড়িতে মাটিচাপা দেয়া হয়। ইব্রাহিম বরুড়া পৌরসভার পাঠানপাড়া এলাকার মাসুদ রানার ছেলে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ইব্রাহিমের চাচাতো ভাই আল আমিনকে (২৫)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন।
আল আমিন জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তার চাচা মাসুদ রানা সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী। সেখানে তাকে চাকরি দেন। কিন্তু পছন্দ না হওয়ায় সে কাজে অপারগতা প্রকাশ করেন। এনিয়ে চাচার সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। চাচা তাকে থাপ্পড় মারে। সে দেশে এসে চাচাতো ভাই ইব্রাহিম খলিলকে অপহরণের সুযোগ খুঁজতে থাকেন। বাড়ির বাইরে খেলতে আসলে ইব্রাহিমকে খাজা(তেলভাজা খাবার) খাইয়ে অটো রিকশা যোগে ৫কিলোমিটার দূরে এগারো গ্রাম নিয়ে আসে। সেই গ্রামের মাঠের একটি নির্জন বাড়ির পাশে নিয়ে গর্তের পানিতে চুবিয়ে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর ওই বাড়িতে মরদেহ কচুপাতা দিয়ে ঢেকে রাখে। পরদিন গিয়ে মাটি খুড়ে মরদেহ চাপা দেয়।
পুুলিশ ও পরিবারের সূত্র জানায়,নিখোঁজের দুদিন পর ৬ সেপ্টেম্বর ইব্রাহিমের মরদেহ ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার পর ইব্রাহিমের চাচাতো ভাই মো. রিপনের ছেলে আল আমিন পলাতক ছিলো। আল-আমিন ইব্রাহিমকে অপহরণের বিষয়ে বিভিন্ন সময় হুমকি দিতো। নিহত শিশুর মা জেসমিন আক্তার আল আমিনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার আল আমিনকে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার বাঁশতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন জানিয়েছেন, ঘটনায় অভিযুক্ত আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।