পাহাড়ের ভাঁজে শিক্ষার সৌরভ

অফিস রিপোর্টার।
কোটবাড়ি। কুমিল্লা নগরীর পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এর লাগোয়া লালমাই পাহাড়। এর ভাঁজে ভাঁজে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই এলাকাকে শিক্ষা নগরী বলা হয়ে থাকে। এইখানে ৭ম শতকে ছিলো প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। যা বর্তমানে শালবন বৌদ্ধ বিহার নামে পরিচিত। রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়,কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট,কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ,কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ, সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সিসিএন মডেল কলেজ,সিসিএন বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সেইফ-রিহ্যাব প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।


সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শালবন বৌদ্ধ বিহারের পশ্চিম দিকে মাঝারি আকারের পাহাড় মাথা তুলে আছে। পাহাড়ের গায়ে সবুজ পোষাক। তার ভাঁজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস। এখানে গড়ে উঠেছে সিসিএন শিক্ষা পরিবার। এসব প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৩হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। আকাশ কালো করে নামে আষাঢ়ের মুষলধারার বৃষ্টি। আকাশে তর্জন গর্জনের শব্দ। কিন্তু কারো সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্লাস -ল্যাবে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের একাংশ নিয়ে মান যাছাইয়ের কাজ করছেন সিসিএন শিক্ষা পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ড. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী ও পরিচালক ইফতেখারুল ইসলাম চৌধুরী সিয়াম।
প্রতিষ্ঠান গুলোর সূত্র জানায়,বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে প্রথম সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানের প্রতিষ্ঠান গুলোতে ৫৪ জেলার শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করেন। কারিগরি শিক্ষা নিয়ে পৃথিবীর ৩০টির মতো দেশে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা।
ড.তারিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,আমরা কোয়ালিটি শিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছি। তাই এই গহিন পাহাড়েও বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা আসছেন। ২০০১সালে প্রথম আমরা সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করি। পরবর্তী অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি তার ৮০ভাগ পূরণ হয়েছে। শতভাগ আবাসিক করতে পারলে শিক্ষার মান আরো বাড়াতে পারবো।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ তাদের প্রতিষ্ঠান গুলো মান সম্মত শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।