প্যাকটা প্রকল্প স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে–ডিসি কুমিল্লা

 

 

আমোদ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেছেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নির্দেশনায় মাঠ প্রশাসন ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ দুর্নীতি হ্রাসকরণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে টিআইবি’র প্যাকটা প্রকল্পের মতো অ্যাপ নির্ভর প্রকল্প জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং সুশাসন নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি ০৮ জুন বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), কুমিল্লা ও টিআইবি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “প্যাকটা প্রকল্প অবহিতকরণ” সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

দালালের দুর্ভোগে পড়ছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ( কুমেক) হাসপাতালের রোগীরা। একজন রোগী চিকিৎসক থেকে প্রেসক্রিপশন নেয়ার পর তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে দালালরা। তারা প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানাটানি শুরু করে। অধিক মূল্যে তারা ওষুধ সরবরাহ করে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। হাসপাতালের প্রবেশ পথে যানজট লেগে থাকে। সামনের সড়কটিও সারা বছর ভাঙ্গা থাকে।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), কুমিল্লা ও টিআইবির বাস্তবায়নাধীন প্যাকটা প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বুধবার আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। সনাক কুমিল্লার সভাপতি রোকেয়া বেগম শেফালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগ কুমিল্লার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শওকত ওসমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আলী ইমাম মীর্জা, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইফতেখার আলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সহকারী পরিচালক ডা. নিশাত সুলতানা এবং কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া আফরিন প্রমুখ।

সনাক কুমিল্লার সদস্য বদরুল হুদা জেনুর উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আইরিন মুক্তা অধিকারী। প্যাকটা প্রকল্পের বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন টিআইবির চট্টগ্রাম ক্লাস্টারের ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর মো: জসিম উদ্দিন।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ নেন সাংবাদিক মোতাহার হোসেন মাহাবুব, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কানিজ তাজিয়া, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) প্রতিনিধি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, ব্র্যাকের প্রতিনিধি মুহাম্মদ ওসমান গনি।