প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর; তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
টানা তিন দিনব্যাপী তাণ্ডব। সরকারি-বেসরকারি অন্তত ত্রিশটি প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, ১০ জনের প্রাণহানির পর কিছুটা স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ক্ষতিগ্রস্থ স্থানগুলো দেখতে অনেকেই ভীড় করছেন। শহরের মানুষের উপস্থিতিও অনেকটা বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।
সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন, সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব, পৌরসভাসহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, প্রতিটি ঘটনার জন্যই মামলা হবে। তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরো জানান, বিষয়টির তদন্তের জন্য চট্রগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে।
উল্লেখ্য, ২৮ মার্চ রোববার হেফাজতে ইসলাম আহুত সকাল-সন্ধ্যা হরতাল থেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলার শিকার হন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামিসহ বেশ ক’জন গণমাধ্যম কর্মী, এমনকি হামলা-ভাঙচুর হয় প্রেস ক্লাবে। এছাড়া একটি মন্দিরের প্রতিমাও ভাঙচুর করা হয়।