‘প্রবীণদের পরম মমতায় আগলে রাখতে হবে’

প্রতিনিধি।।
পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের প্রতি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাঁদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দিতে হবে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁদের নিবিড় সম্পর্ক জোরদার করতে হবে। তাঁদের হাসি খুশি রাখতে হবে। তাদের পরম মমতায় আগলে রাখতে হবে। এই লক্ষে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে শুক্রবার দিনব্যাপী কুমিল্লা ক্লাবে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জেরিয়াট্রিক কেয়ার সাপোর্ট বাংলাদেশের (জিসিএসবি) উদ্যোগে ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।


জিসিএসবির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. কাজী মো. ইস্রাফীলের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রবীণ শিক্ষাবিদ আমীর আলী চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল আজাদ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবু জাফর খান, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, রোটারী ক্লাবের সাবেক গভর্নর নারীনেত্রী দিলনাশি মোহসেন , জিসিএসবি কুমিল্লা জেলার আহবায়ক ও পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক ও কুমিল্লা ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা.অনুপম হোসাইন, বিশিষ্ট নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আরিফ মোর্শেদ খান ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডা. মনজুর আল মোর্শেদ চৌধুরী। এতে তাঁরা প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের তাগিদ দেন।
সেমিনারে প্রবীণ শিক্ষাবিদ আমীর আলী চৌধুরী বলেন,‘ ১৯৯৫ সালে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে অবসরে যাই। আমার বয়স এখন ৮৭। আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে অস্ট্রেলিয়া থাকেন। স্ত্রী গত হয়েছেন বছর খানেক আগে। ছোট ছেলে আমাকে পরম মমতায় আগলে রেখেছেন। বয়স হলেই বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে হবে, এটা ঠিক না। পরিবারের সদস্যরা বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের আঁকড়ে থাকবে। তাঁদের চিকিৎসাসহ সেবা দেবে। এই সংগঠন যে সচেতনতামূলক কাজ শুরু করেছে, তাতে যৌথ পরিবার টিকে থাকবে। বয়োজ্যেষ্ঠরা বোঝা হবে না, পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাবে। কনিষ্ঠ সদস্যরা বয়োজ্যেষ্ঠদের পাশে থাকবে।’