পয়াতের জলা খাল খননে দূর হবে তিন হাজার একর জমির জলাবদ্ধতা

 

আমোদ প্রতিনিধি।।

তিন হাজার একর জমির জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পয়াতের জলা খাল পুনঃ খনন কাজ শুরু হয়েছে।সোমবার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সেচ বিভাগের আওতায় কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বুড়িচং উপজেলায় পয়াতের জলা সংলগ্ন খাল পুনঃ খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিন । এ সময় পয়াতের জলার জলাবদ্ধতার বর্ণনা দিয়ে বক্তব্য রাখেন সোনার বাংলা কলেজের প্রিন্সিপাল সেলিম রেজা সৌরভ, কৃষি সংগঠক মোঃ নুরুল ইসলাম।

সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পানি ঘুংঘুর খালসহ অনেকগুলো শাখা খালের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ও পাঁচথুবী ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত সিংগারিয়া জলা ও আংকি জলায় অবস্থান করে। অপরদিকে পাগলি নদীর পানি বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সিংগারিয়া জলায় পতিত হয়। পরবর্তীতে সিংগারিয়া জলার পানি ভৌগোলিক কারণে একটি মাত্র পথ, পিতাম্বর ও ভুবনঘর মৌজায় অবস্থিত পাগলি ও ঘুংঘুর নদীতে প্রবেশক্রমে রসুলপুর, বলরামপুর মৌজা হয়ে বৃহৎ পয়াতের জলায় প্রবেশ করে। সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে রোপা আমন চাষ সম্ভব হয় না। অন্যদিকে আগাম বৃষ্টি বা ভারত থেকে নেমে আসা বা পাহাড়ী ঢলে বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ঘুংঘুর নদীতে প্রবেশকৃত অতিরিক্ত পানি বাকশিমুল দক্ষিণপাড়া খাল, মধ্যপাড়া খাল, উত্তর পাড়া খাল ও তিতির খাল দিয়ে পয়াতের জলা ও খোদাইতুলী জলায় পতিত হয়ে খালের মুখে ও বিভিন্ন স্থানে প্রতিবন্ধকতা থাকায় বের হতে পারে না। উক্ত পুনঃখনন কাজটি বাস্তবায়ন করা হলে প্রায় তিন হাজার একর জমির পানি জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং প্রায় ১৫০০ জন কৃষক উপকৃত হবে।

এদিকে পয়াতের জলার জলাবদ্ধতা পূর্ণাঙ্গরূপে নিরসনকল্পে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবির প্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক পয়াতের জলা সংশ্লিষ্ট সকল খাল পুনঃ খননের জন্য প্রকল্প পরিচালককে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি খালের দখলকৃত জায়গা পুনঃরুদ্ধারের জন্য তালিকা প্রণয়ন এবং উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ প্রদান করেন।