বঙ্গবন্ধুর কারা সঙ্গী অজিতগুহের মূল্যায়ন চান শিক্ষার্থীরা

 

ভাষা সৈনিক অজিতগুহ কলেজকে জাতীয়করণ দাবি

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাগারের সঙ্গী ভাষা সৈনিক অজিতগুহকে মূল্যায়নের দাবি উঠেছে। তার মধ্যে রয়েছে তার জীবনী পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত, মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রদান ও তার নামে প্রতিষ্ঠিত ভাষা সৈনিক অজিতগুহ কলেজকে জাতীয়করণ করা। কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষক, তিন হাজার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সুধীজনরা এ দাবি জানান।


কলেজ সূত্র জানায়, কলেজটি ১৯৭০সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বর্তমানে ভাষা সৈনিক অজিত কুমার গুহের কুমিল্লা শহরের সুপারিবাগানের বাড়িতে অবস্থিত। দেশের বিশিষ্টজনদের নামের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়েছে। ৫৪বছরের প্রাচীন কলেজটি জাতীয়করণ হলে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী উপকৃত হবে।
কলেজের দ্বাদশ (বিজ্ঞান) শ্রেণীর ছাত্রী ইসরাত জাহান সিমি,ইফাত জাহান আমরিন ও ইকরামুল ইসলাম বলেন,এখানে অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের শিক্ষার্থী পড়েন। বেসরকারি কলেজের বেতন দিয়ে পড়া অনেকের জন্য কঠিন হয়ে যায়। তাই কলেজটি জাতীয়করণের দাবি জানাই।


কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. মোস্তাক আহমেদ এবং সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা হোসেন চৌধুরী বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অনেকে ভর্তি হয় কিন্তু বেতন দিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেন না, কিছু শিক্ষার্থী ঝরে যায়। এটি জাতীয়করণ হলে ওইসব শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।

(কলেজ অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম)
কলেজ অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন,অজিতকুমার গুহ ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য একাধিকবার গ্রেফতার হন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাগারের সঙ্গী ছিলেন। তা অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করেছেন। তার জীবনী পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্তকরণ, স্বাধীনতা পদক প্রদান ও কলেজটি জাতীয়করণের দাবি জানাচ্ছি। জীবনী পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্তকরণে বর্তমান প্রজন্ম তাকে নতুন করে জানার সুযোগ পাবে।


উল্লেখ্য-অধ্যাপক অজিতকুমার গুহের রবীন্দ্র সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্য ছিলো। তিনি চিরকুমার ছিলেন। ১৯৬৯ সালের ১২নভেম্বর কুমিল্লার সুপারিবাগানের বাসায় তিনি পরলোক গমন করেন।

(ছবি তুলেছেন ইলিয়াছ হোসাইন)