বন্ধুদের পরিকল্পনায় খুন হয়েছে নয়ন
আমোদ প্রতিনিধি।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে নিজ ঘরে খুন হওয়া বিএনপি নেতার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম নয়ন (৩৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআইর তদন্তে জানা গেছে, বন্ধুদের পরিকল্পনায় খুন হয়েছিল জাহাঙ্গীর আলম নয়ন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পিবিআই।
বৃহস্পতিবার এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৬ অক্টোবর গভীর রাতে জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ভুলিরপার গ্রামের নিজ বাড়িতে জাহাঙ্গীর আলম নয়নকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দৃর্বৃত্তরা। জাহাঙ্গীর আলম নয়ন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো.সাদেক হোসেন সরকারের ছেলে। এ ঘটনার খবর পেয়ে আমেরিকা থেকে দেশে এসে ১০ অক্টোবর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন সাদেক হোসেন। তবে তদন্তে খুনের কোন তথ্য বের করতে পারেনি থানা পুলিশ। সর্বশেষ মামলার বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ও পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে পিবিআই, কুমিল্লার পুলিশ পদির্শক মিন্টু দত্ত মামলাটির তদন্ত শুরু করেন।
পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান বলেন, মামলাটি ছিলো একেবারেই কু-লেস। আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রযুক্তির সহায়তায় মামলাটির নিরবিচ্ছিন্ন তদন্ত শুরু করি। সবশেষ গত মঙ্গলবার রাতে দাউদকান্দি থেকে আক্তার হোসেন (৩৫) নামে একজনকে আটক করি। আক্তার ওই উপজেলার চরমোহাম্মদী গ্রামের আবদুল সাত্তারের ছেলে। তবে সে নিহত জাহাঙ্গীর আলম নয়নের গ্রামেই ভাড়া থাকতো। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে পুরো হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। বুধবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আক্তার জানায়- মাদক ব্যবসা ও অভ্যন্তরীণ লেনদেনের জেরে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে নয়নকে। তার কয়েকজন বন্ধু এই হত্যার পরিকল্পনা করে। নিহতের বাড়িতে হত্যাকারীরা প্রায়ই আসা-যাওয়া করতো। হত্যাকাণ্ডের দিন রাত ১টার দিকে ৯/১০ জন মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তদন্তের স্বার্থে আমরা তাদের নাম প্রকাশ করছি না। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পুলিশ পদির্শক মিন্টু দত্ত বলেন, আটককৃত আক্তার হোসেনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আক্তার দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছে।