বন্ধ চিড়িয়াখানা ফিরছে ডিসি পার্ক হয়ে

মহিউদ্দিন মোল্লা ।।
প্রায় চার বছর বন্ধ কুমিল্লা কুমিল্লা বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানা ফিরছে বৃহৎ পরিসরের আধুনিক পার্ক হয়ে। নতুন নাম ডিসি পার্ক। এটির নির্মাণ কাজ ঈদ- উল আযহার আগে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। নগরীতে সাশ্রয়ী বিনোদনের এই আয়াজনের খবরে খুশি কুমিল্লা নগরবাসী।
সূত্র জানায়, ১৯৮৬ সালে কুমিল্লা শহরের কালিয়াজুরি মৌজায় ১০ দশমিক ১৫ একর জায়গা নিয়ে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে দশমিক ৭৫ একর জায়গার মধ্যে স্থাপন করা হয় চিড়িয়াখানা। কুমিল্লার সাবেক জেলা প্রশাসক আবদুস সালাম এটি স্থাপন করেছিলেন। ২০২২সালের  প্রথম দিকে অযতেœ অবহেলায় পড়ে থাকা চিড়িয়াখানাটি তৎকালীন জেলা প্রশাসক বন্ধ করে দেন। এতে ব্যথিত হন কুমিল্লা নগরীর বাসিন্দারা। গত তিন যুগের বেশি সময় ধরে জেলা পরিষদ চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনটি পরিচালনা করে আসছিল। নতুন ডিসি পার্কটি প্রায় দ্বিগুণ জায়গা নিয়ে ১৯একর ভূমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথম ৫কোটি টাকার টেন্ডার হয়ে গেছে। পরবর্তীতে আরো ২০ কোটি টাকার টেন্ডার হবে। কুমিল্লা জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশন এই কাজে বরাদ্দ দিচ্ছে। ঈদ-উল- আযহার আগেই নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যাবে। পার্কে সবুজের সমাহারের সাথে আধুনিক রাইড,লেক,ফুডকোর্টসহ নানা আয়োজন থাকবে।
আলোকিত বজ্রপুরের সংগঠক রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, কুমিল্লা প্রাচীন শহর হলেও এখানকার জনগণ প্রতিনিয়ত বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এক ধর্মসাগর পাড় ছাড়া কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। ডিসি পার্ক নগরবাসীর সেই চাহিদা পূরণ করবে বলে আশা করছি।
কুমিল্লা কৃষি ও কারিগরি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আকন্দ বলেন, নগরীতে মানুষের নি:শ্বাস ফেলার কোনো জায়গা নেই। মা-বাবা তাদের সন্তানদের নিয়ে ঘুরবে তেমন কোনো জায়গা নেই। কয়েকটি বাণিজ্যিক পার্ক নগরীর বাইরে গড়ে উঠেছে। তবে সেখানের রাইড মূল্য অনেক বেশি। যা নি¤œ মধ্যবিত্ত ও নিম্œবিত্তের বহন করা কঠিন হয়ে পড়ে। ডিসি পার্ক সাশ্রয়ী মূল্যে নগরবাসীকে সেই বিনোদনের সুযোগ করে দিবে বলে প্রত্যাশা করছি।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো.আমিরুল কায়ছার জানান, ১৯৮৬ সাল থেকে কুমিল্লা চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন জেলা পরিষদ পরিচালনা করে আসছে। এটি মূলত ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ভূমি। এ জায়গার মালিক জেলা প্রশাসন। আমরা সাশ্রয়ী বিনোদনের জন্য এটিকে ডিসি পার্ক হিসেবে চালুর পরিকল্পনা করেছি। সহসা কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।

inside post
আরো পড়ুন