বরুড়াতে সুষ্ঠু ভোটের শংকায় বিএনপি, চৌদ্দগ্রামে নির্ভার আ’লীগ

আমোদ রিপোর্টার।।
শনিবার তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে পৌর নির্বাচন। এ তালিকায় যুক্ত আছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও বরুড়া পৌরসভা। চৌদ্দগ্রামে জয়ের ব্যাপারে নির্ভার আওয়ামী লীগ,এখানে তাদের বিদ্রোহী নেই। বিএনপির দুইজন বিদ্রোহী। বরুড়াতে বিএনপির একজন প্রার্থী,আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী একাধিক। এখানে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নিয়ে শংকায় রয়েছে বিএনপি।

চৌদ্দগ্রাম পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিএম মীর হোসেন মীরু (নৌকা), পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব মো: হারুন অর রশিদ (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মো: হাসান শাহরিয়ার খাঁ (মোবাইল ফোন), সাবেক ছাত্রদল নেতা মো: বেলাল হোসেন মিয়াজী (জগ)।

চৌদ্দগ্রামে মেয়র পদে এবার নতুন মুখ। তবুও জয়ের ব্যাপারে দলটির নেতাকর্মীরা নির্ভার। কারণ নৌকা প্রতীকে নেতাকর্মীদের রয়েছে ঐক্যমত। আ’লীগের প্রার্থী জিএম মীর হোসেন মীরু বলেন, ‘পৌরসভা নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীরা সবাই দিন রাত খেটেছে। আমি জয়ের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী।’ তবে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার বিএনপিতে রয়েছে বিভেদ। চৌদ্দগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হয়েছে পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব মো: হারুন অর রশিদ। তবে দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দু’জন। তারা হলেন উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মো: হাসান শাহরিয়ার খাঁ, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সি.সহ-সভাপতি সাবেক মো: বেলাল হোসেন মিয়াজী। বিএনপি’র প্রার্থী মো: হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত।’

বরুড়া পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শংকায় রয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা। বিএনপি প্রাথী বর্তমান মেয়র জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘গত শুক্রবার থেকে প্রচার-প্রচারণা করতে পারেন নি। প্রচারের মাইক ভেঙ্গে ফেলছে। দলীয় নেতাকর্মীদের স্ত্রীদেরকে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হয় তাহলে বিএনপির জয়ী হবে। ’

বরুড়া পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগে রয়েছে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। নৌকা প্রতীক পেয়েছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক বকতার হোসেন। বকতার হোসেন বলেন, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন তারা কেউ আওয়ামী লীগের না। তারা বিভিন্ন দল থেকে অনুপ্রবেশ করে এখন আওয়ামী লীগের পরিচয় দেন। সত্যিকার আওয়ামী লীগের কর্মী কখনো দলের প্রতি বিদ্রোহ করে প্রার্থী হতে পারে না।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সাবেক পৌর মেয়র বাহাদুরজ্জামান, যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান ওরফে মিয়া কামরুল । যিনি গত বুধবার জেল থেকে জামিনে বের হয়েছেন। এছাড়াও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদির সাইদ। এছাড়াও ওয়ার্কস পার্টির প্রার্থী আব্দুল কাদির ও হাতপাখা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবুল বাশার।