বাংলা ভাষা শিখছেন মেডিকেলের বিদেশি শিক্ষার্থীরা

 

আবু সুফিয়ান রাসেল।।

বাংলা ভাষা শিক্ষায় আগ্রহী হচ্ছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের বিদেশি শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা শিখাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন লেকচার বুঝা, ইন্টার্নশিপ করা, রোগীর সাথে কথা বলাসহ দৈনন্দিন জীবনের জন্য তারা ভাষা শিখছেন। বাংলা ভাষার এ কোর্স চলমান থাকবে।

 

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী আবু দাগ্গা জানান, আমাদের শ্রেণি কক্ষের লেকচার ইংরেজিতে হয়, প্রাসঙ্গিক কিছু শব্দ বাংলা চলে আসে। গ্রুপ স্টাডি, দৈনন্দিন জীবনে বাংলা প্রয়োজন। ইন্টার্নশিপে রোগীর ভাষা বুঝতে বাংলা শিখছি। আর আমরা ৫/৬ বছর এ দেশে থাকবো। এ ভাষার প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানাই।


কত সাল থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়? এ প্রশ্নের উত্তরে সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটির সঠিক তথ্য জানতে পুরাতন রেজিষ্ট্রার দেখতে হবে। তবে আমি দেখেছি ১৯৯৮-৯৯ সেশনে বিদেশি শিক্ষার্থী ছিলো। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে। একই সাথে দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও বিদেশি শিক্ষার্থী বাড়ছে। যা বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ভালো রূপের স্বীকৃতি। কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদেশি।


বাংলা ভাষা প্রশিক্ষক ভিক্টোরিয়া কলেজের আরবি ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ বলেন, এখন যারা ক্লাস করছেন তারা ফিলিস্তিনি। তাদের মাতৃভাষা আরবি। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য বাংলা ভাষা কথা বলার জন্য তাদের শিক্ষা দেওয়া হয়। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের আরবি, ইংরেজি, উর্দু ও ফারসি যাদের মাতৃভাষা তাদের বাংলা ভাষা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রেখেছি। এসব শিক্ষার্থীরা প্রতি বুধবার ক্লাস করে থাকেন।

 

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ ডা. মোস্তফা কামাল আজাদ জানান, ফিলিস্তিনি, পাকিস্তানি, মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশের বিশজনের অধিক শিক্ষার্থী বর্তমানে অধ্যয়ন করেন। গত কয়েক বছরে শতাধিক বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করে সনদ গ্রহণ করেছে। গতমাসে বিদেশি শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষা শিখার জন্য আবেদন করেছে, তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যেক্ষের মাধ্যমে একজন খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফরেনার স্টুডেন্টদের লেকচার বুঝা, ইন্টার্নশিপ করা, রোগীর সাথে কথা বলাসহ দৈনন্দিন জীবনের জন্য তারা ভাষা শিখছেন। তারা চাইলে বাংলা ভাষা কোর্স চলমান থাকবে। এটি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে চালু করেছি।