বিএনপির কর্মীদের মাঝে হাতাহাতি, আহত ১৫


প্রতিনিধি।।
জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্র সফল হবে না বলে মন্তব্য করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন বলেছেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিএনপির প্রাণ। গত ১৭ বছর তৃণমূলের কর্মীরা আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিল। আ’লীগ বিএনপিকে ভাঙার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তৃণমূলের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকায় বিএনপি ভাঙতে পারেনি কেউ। স্বৈরাচার পতনের পর একটি পক্ষ বিএনপি ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে। সোমবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের বিচার দাবি, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ কামরুল হুদা। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জাহাঙ্গীর, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, মুজাহিদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া স্বপন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব হাজী মামুন। উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম রাজু ও পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ মজুমদারের যৌথ সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুন্নবী পাটোয়ারী নুরু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শরীফুল ইসলাম দুলাল, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন মামুন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ হাসান, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসানাত মিয়া মোঃ জোবায়ের হোসেন, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি গাজী আবু বক্কর ছিদ্দিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন ডেভিড, উপজেলা ছাত্রদল নেতা ফখরুল হাসান, আবির আবদুল্লাহ চৌধুরী, ফরিদ খান।
এদিকে চেয়ারে বসা ও ব্যানার-ফেস্টুন আগে নেয়াকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন; জেলা বিএনপির সদস্য সাজেদুর রহমান মোল্লা হিরণ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম শামীম, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর রহমান আশিক, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী জোবায়ের, যুবদল নেতা মোঃ সোলেমান, মোঃ খায়ের, উজ্জল, শ্রমিকদল নেতা আবির, যুবদল কর্মী সবুজ, সাইফুল, মোঃ ইউসুফ, জনি, ইকবাল, আইয়ুব, জাকির হোসেন আহত হয়েছেন। আহত নেতাকর্মীরা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য সাজেদুর রহমান মোল্লা হিরণ বলেন, ‘নেতাকর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশের চেষ্টা করলে কামরুল হুদার কর্মীরা আমাকে লাঞ্চিত করে এবং নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ কামরুল হুদা বলেন, অডিটরিয়ামের বাইরে নেতাকর্মীরা চেয়ারে বসা ও ব্যানার ফেস্টুন আগে নেয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা হয়েছে। অডিটরিয়ামের ভিতরে কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, ‘বিএনপির সাংগঠনিক সভায় দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির বিষয়ে শুনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’