বিএনপি-জামায়াত তালেবানি বাংলাদেশ চেয়েছিলো : যুবলীগ সাধারণ সম্পদক নিখিল

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বিএনপি-জামাত বাংলাদেশকে জঙ্গি ও তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিলো। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এই আগষ্ট মাসেই জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এই আগষ্ট মাসেই জননেত্রীর উপরও গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। আবার এই আগস্ট মাসেই দেশে ঘটেছিলো সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা। এসব ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সিলেট যাবার পথে ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্টের সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ে জেলা যুবলীগ আয়োজিত পথসভায় যোগ দিয়ে উপরোক্ত মন্তব্য করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
যুবলীগ সেক্রটারি আরো বলেন, সিরিজ বোমা হামলার মধ্য দিয়ে তারা সেদিন এটাই জানান দিয়েছিল বাংলাদেশ একটি জঙ্গী রাষ্ট্র। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য দিনটি একটি কলঙ্কজনক দিন। হামলার আগষ্ট মাসকেই বিএনপি-জামাত বারবার বেছে নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এই আগষ্ট মাসেই জাতিরজনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এই আগষ্ট মাসেই জননেত্রীর উপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সভায় জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলামের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয়, জেলা-উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ২০০৫ সালে ১৭ আগস্টে সারা দেশে জঙ্গীবাদী গোষ্ঠির সিরিজি বোমা হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সভায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক আহবায়ক আবদুল খালেক বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, ২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট তৎকালীন বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সারা দেশে জঙ্গীবাদী গোষ্ঠির সিরিজি বোমা হামলা হয়েছিলো। তারা দেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রকে পরিণত করতে চেয়েছিলো। এসময় বক্তরা এই ঘটনার বাকি মামলাগুলোর দ্রুত চার্জশীট প্রদান, প্রতিটি মামলার আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বাস্তবায়নের দাবী জানান।