ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কে খানা-খন্দ
ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কের কুমিল্লার বিভিন্ন অংশে খানা-খন্দ বাড়ছে। খানা-খন্দে পড়ে ছোট যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। গর্তের কারণে কিছু অংশে ধীরগতিতে যান চলাচল করে। এতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা থেকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা এলাকায় বেশি খারাপ অবস্থা। এছাড়া চান্দিনার মাধাইয়া, কুটম্বপুর ও ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় সড়কে ঢেউ হয়ে গেছে। কিছু স্থানে গর্ত রয়েছে। এনিয়ে গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়,চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াজার অংশে, নোয়াবাজার,মিরশ্বানি বাজার অংশে, সৈয়দপুর, আমানগন্ডা,হাঁড়িসদার বাজার অংশে, পৌরসভার কালিবাজার, চৌদ্দগ্রাম বাজারের দোয়েল চত্বর, বাতিসা বাজার,আমজাদের বাজার, চিওড়া রাস্তার মাথা, পদুয়া রাস্তার মাথা ও লাটিমী অংশে রয়েছে কয়েক হাজার গর্ত।
সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী এলাকায়,লালবাগ,কমলাপুর,মস্তাপুর,পদুয়ার বাজার এলাকায় গর্ত রয়েছে। বৃষ্টি হলে গর্ত গুলো ভরাট হয়ে যায়। সেই গর্তে প্রাইভেট কার,সিএনজি অটো রিকশা,মারুতি ও মোটর সাইকেল বেশি দুর্ঘটনায় পড়ে।
সম্প্রতি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু তার এলাকার মহাসড়কের দুরাবস্থা নিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ওই ভিডিওতে তিনি দাবি করেন দুই দিনে কসমস পাম্পের নিকট গর্তে পড়ে ৫০জনের মতো মোটর সাইকেল চালক আহত হন।
চৌদ্দগ্রামের বাসিন্দারা জানান,মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশে অনেক গর্ত রয়েছে। সেগুলোতে পড়ে মানুষ আহত হচ্ছেন। মহাসড়কটির গর্ত ভরাটের পাশাপশি স্থায়ী সংস্কার প্রয়োজন।
সদর দক্ষিণ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু বলেন,মহাসড়কে গর্তেও কারণে মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন। ফেসবুকে ভিডিও দেয়ার পর আমার অংশের মহাসড়কের গর্ত সংস্কার করা হয়েছে। সড়ক বিভাগকে বলেছি,ভ্রাম্যমাণ টিম দিয়ে তদারকি করতে। যাতে ক্ষতিগ্রস্থ মহাসড়ক দ্রুত মেরামত করতে পারেন।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজা-ই- রাব্বী বলেন,বৃষ্টিতে কিছু স্থানে গর্ত হয়ে গেছে। দুইটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মহাসড়ক সংস্কারে চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন। কিছু অংশের গর্ত সংস্কার করা হয়েছে। বাকী গর্ত গুলোও দ্রুত সংস্কার করা হবে।
বর্ষার শুরু হওয়ার পর ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কের কুমিল্লার বিভিন্ন অংশে খানা-খন্দ বাড়ছে। খানা-খন্দে পড়ে ছোট যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা থেকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা এলাকায় বেশি খারাপ অবস্থা। এছাড়া চান্দিনার মাধাইয়া, কুটম্বপুর ও ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় সড়কে ঢেউ হয়ে গেছে। কিছু স্থানে গর্ত রয়েছে। আমরা মনে করি এই মহাসড়ক দেশের ইকোনমিক লাইফ লাইন। এর সংস্কার দ্রুত করা প্রয়োজন। তাহলে কমবে দুর্ঘটনা ও যানজট। এতে সময়ের সাথে বাঁচবে জীবনও।