বিজয় মিছিলে গিয়ে গুলি লাগে ৭ম শ্রেণীর কামরুলের

গুলিবিদ্ধ ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় মানুষের বাড়িতে কাজ করা মায়ের
হাসিবুল ইসলাম সজিব।।
শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগে কুমিল্লার দেবিদ্বারে সবার সাথে বিজয় মিছিলে যোগ দেন ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া কামরুল হাসান। এসময় ক্ষিপ্ত জনতা হামলা চালায় থানা ও আওয়ামী লীগের অফিসে। এসময় পুলিশের একটি গুলি এসে লাগে কামরুল হাসানের ডান পায়ে। কুমিল্লা মেডিকেল ভর্তি করলেও কবে দুইপায়ে হাটতে পারবেন তার নিশ্চিয়তা দিচ্ছেন না কর্তব্যরত চিকিৎসক। ছেলের ভবিষ্যত ও চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে মানুষের বাড়িতে কাজ করা মায়ের। কামরুল হাসান কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোপালনগর গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তারা দেবিদ্বার সদরে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
সূত্র জানায়, ছাত্রদের সহযোগিতায় কামরুলকে ভর্তি করা হয় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়েলিটি বিভাগের ০৪ নম্বর বেডে। ডাক্তাররা তার পায়ের অবস্থায় দেখে এক্স-রেসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। তাতে দেখেন ডান পায়ের হাড় গুড়ো হয়ে গেছে। তার পায়ের অপারেশন করা হয়। পায়ে মাংস ক্ষত থাকায় পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে কিছুটা সময় লাগছে।
রোববার কামরুল হাসানের মা কুলসুম আক্তার বলেন, তারা দুই ভাই বোন। বাবা হারা ছেলে। মানুষের বাড়িতে কাজ করে পরিবার ও ছেলের লেখাপড়ার খরচ বহন করতাম। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে মেডিকেল ভর্তি আছি। আয়ের পথ বন্ধ। কিভাবে কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না। ছেলে কবে থেকে সুষ্ঠু হয়ে হাঁটতে পারবে তাও সঠিকভাবে বলছেন না ডাক্তাররা। যদি কেউ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে ছেলেকে ফলমূল কিনে খাওয়াতে পারবো।
ক্যাজুয়েলিটি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডাঃ আবু জাফর মোঃ সালেহ্ জানান, যে ছাত্রটি চিকিৎসাধীন রয়েছে তার ডান পায়ে গুলি ঢুকে হাড় গুড়ো হয়ে যায়। ভালো করে হাঁটতে একটু সময় লাগবে। তার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সকল কিছু হসপিটাল কর্তৃপক্ষ বহন করছে। ব্যক্তিগত ভাবেও আমাদের ডাক্তাররা আর্থিক সহযোগিতা করছেন।