বৃষ্টি এলে জামা বই ভিজে যায়!

মোহাম্মদ শরীফ

১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেবিদ্বারের ফাতেহাবাদ পীর সাহেব মাওলানা ফজলুল হক জামেয়া ইসলামীয়া আলিম মাদরাসা। ইসলামী শিক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির সুনাম জেলা জুড়ে। এছাড়া এখানে রয়েছে পীর ফতেহাবাদ দরবার শরীফ। ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে দ্বীনি শিক্ষা নিতে জেলা পেরিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও আসেন। চার শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে এখানে পাঠদান করা হয় প্রথম থেকে আলিম (ইন্টারমিডিয়েট) পর্যন্ত।
শিক্ষা প্রদানে প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘদিনের সুনাম থাকলেও, জরাজীর্ণ একাডেমিক ভবনের কারনে ভোগান্তী পোহাতে হয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের। এখানকার পাঁচটি একাডেমিক ভবনের চারটি টিনশেড ও একটি এক তলা পাঁকা ভবন। যার একটি টিনশেড ভবন এখন পরিত্যক্ত। বাকি তিনটি নড়বড়ে ভবনে চলছে পাঠদান। এসব ভবনে বৃষ্টি হলে টিনের ফুটো দিয়ে ক্লাস রুমে পড়ে পানি। এতে অনেক সময় হয়ে পড়ে ক্লাস বন্ধ। ভিজে যায় শিক্ষার্থীদের জামা কাপড় ও বইপত্র। একাডেমিক ভবনের এমন বেহাল দশায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হওয়ার কথা জানালেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

ফাতেহাবাদ পীর সাহেব মাওলানা ফজলুল হক জামেয়া ইসলামীয়া আলিম মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেহেদী জানান, ‘বৃষ্টি আসলে আমরা এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে আশ্রয় নেই। অনেক সময় বই ও পাঞ্জাবী ভিজে যায়’।

১৯ জন শিক্ষক নিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটিতে পাঠদান। এতে শিক্ষকের শূণ্য পদ রয়েছে তিনটি। এই মাসেই আরো একজন শিক্ষক যাবেন অবসরে। একাডেমিক ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থাকে প্রধান সমস্যা মনে করছেন প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মাওলানা মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, ‘একাডেমিক ভবন নির্মাণে সরকার ও স্থানীয় সহায়তা পেলে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাবে। এতে বাড়বে শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থী ‘।