ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা নিহত

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে জেলা ছাত্রলীগ নেতা ইকরাম আহমেদ নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শহরজুড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে রায়হান নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রেদোয়ান আনসারী রিমোর বাসায় ঘটে এই ঘটনা। নিহত ইকরাম মিয়া ওরফে ইকরাম আহমেদ (২৫) জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের চুন্টা গ্রামের মাসুদ মিয়ার পুত্র এবং জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বরত ছিলেন। অপরদিকে অভিযুক্ত রায়হান (২০) ঢাকার বংশাল এলাকার জিয়াউল করিমের ছেলে।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,  ইকরাম জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা গ্রামের মাসুদ মিয়ার পুত্র ইকরাম বর্তমানে জেলা শহরের ফরিদুল হুদা রোডের ভাড়া বাসায় বসবাসরত। অপরদিকে ঢাকার বংশাল এলাকার জিয়াউল করিমের ছেলে রায়হান জেলা শহরের মুন্সেফপাড়াস্থ তার মামার বাসায় থাকতেন। সেই বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো ইকরাম। তারা দুইজন মিলে একটি মোটরসাইকেল চালাতেন। রায়হান অনেকটাই মাদকাসক্ত। বুধবার বিকেলে রায়হানের কাছে সেই মোটরসাইকেলের চাবি চান ইকরাম। কিন্তু রায়হান চাবি না দেওয়ায় এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে ইকরামকে চুরিকাঘাত করে রায়হান।  তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইকরামকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ রায়হানকে আটক করেছে। এদিকে ছাত্রলীগ নেতা ইকরাম হত্যকাণ্ডে জড়িত রায়হানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে সন্ধ্যায় সদর হাসপাতাল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা নিহত হন। ঘটনার পরপরই পুলিশ রায়হানকে আটক করেছে।