ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোচালকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ মিললো খালে
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই। এর জন্যেই চালককে মেরে হাত-পা বেঁধে খালের পানিতে ফেলে অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। নিখঁজের টানা তিন দিন পর পাশের গ্রামের খালে মিলো অটোচালক ইমন মিয়ার হাত-পা বাঁধা মরদেহ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পাঠিয়েছে মর্গে। বর্বরোচিত ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা এলাকার।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের আন্দিদিল গ্রামের একটি খাল থেকে উদ্ধার হয় অটোচালকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ। নিহত ইমন মিয়া (১২) একই ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামের ফকির বাড়ির নাছির মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্য, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাতে ১২ বছর বয়সের ইমন তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি নিয়ে বের হয়। সেদিন অনেক রাত হলেও ইমন আর ঘরে ফিরেনি। পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও হদিস পায়নি ইমনের। সেই থেকেই নিখোঁজ ছিলো ইমন। শেষতক বৃহস্পতিবার সকালে একই ইউনিয়নের আন্দিদিল গ্রামের একটি খালে এক যুবকের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাত-পা বাঁধাবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। লাশের হাত-পা বাধা এবং মুখে আঘাতের চিহ্নও পায় পুলিশ। খবর পেয়ে ইমনের পরিবারের লোকজন গিয়ে লাশটি ইমনের বলে শনাক্ত করেন। পুলিশ এবং স্থানীয়দের ধারণা, দুর্বৃত্তরা ইমনকে হত্যা করে তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে ইমনের হাত-পা বাঁধা লাশ খালে ফেলে রেখে গেছে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে ইমনের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতের পর ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (ওসি) আজাদ রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিতেই তাকে হত্যা করা হয় বলে ধরাণা করা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’