ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন ভবনের ইটের আঘাতে স্কুলছাত্রীসহ তিনজন আহত 

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংলগ্ন স্থানে নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন।ভালোভাবে নিরাপত্তা ছাউনী দিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুরোধকে করা হয় উপেক্ষা। শেষতক বহুতল ভবনের উপর থেকে নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হন স্কুলছাত্রীসহ তিনজন। ঘটনার পরপরই বেপাত্তা হন বহুতল ভবনের মালিকপক্ষ ও শ্রমিকরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় ক্রিসেন্ট কিণ্ডারগার্টেন স্কুল সংলগ্ন স্থানে ভয়াবহ এই ঘটনায় আহতেরা হলেন শেরপুর মহল্লার সারোয়ার হাসানের কন্যা স্কুলছাত্রী আয়েশা আঞ্জুম (৭), তার মা নাজিয়া করিম (৩৫) ও মুন্সেফপাড়া মহল্লার বিপ্লব মিয়া স্ত্রী নয়নতারা (৩২)। তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ভবনের মালিক পক্ষ ও শ্রমিকরা পালিয়ে গেছে।
আহত নাজিয়া করিম বলেন, নিত্যদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার দুপুরেও স্কুল ছুটির পর সকল অভিভাবকরাই স্কুলের নিচে দাঁড়িয়ে অবস্থান করছিলাম। এসময় স্কুলের পাশের নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের উপর থেকে বেশ কয়েকটি ইট খসে পড়ে। এতে আমি, আমার মেয়ে আয়েশা আঞ্জুম এবং মুন্সেফপাড়া মহল্লার নয়নতারা নামের আরেকজন অভিভাবক আহত হই। পরে স্থানীয় লোকজন আমাদেরকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ক্রিসেন্ট কিণ্ডারগার্টেন স্কুলের একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, প্রায় সময়ই নির্মাধীন ওই ভবনটি থেকে ময়লা আর্বজনাও নিচে ফেলা হয়। বেশ কয়েকবার স্কুল কৃর্তপক্ষকে জানালেও তারা তেমন কোনোই উদ্যোগ নেননি। এদিকে ঘটনার পরপরই গাঢাকা দিয়েছেন নির্মাণাধীন ওই বহুতল ভবনের মালিকপক্ষ এবং ভবনে কর্মরত শ্রমিকরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দিয়েছেন।
ক্রিসেন্ট কিণ্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার বলেন, ‘যেহেতু পাশেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাই ভবনটির নির্মাণ শুরুর পর থেকেই আমরা মালিক পক্ষকে বলে আসছি ভালো করে নিরাপত্তা ছাউনী দেয়ার জন্য। তারা আমাদের কোন কথারই কর্ণপাত করেন নি।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ‘হেভেন ওয়ার্ল্ড প্রপার্টিজ লিমিটেড কনসালটেন্ট এণ্ড কনট্রাকশন’র মালিক সুজনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’