ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ডুবে খালা-ভাগ্নির মৃত্যু

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া 
খালা-ভাগ্নি শামসুন্নাহার এবং মিথিলা। দু’জনেই স্কুলছাত্রী এবং একই মহল্লার বাসিন্দা। যথাক্রমে চতুর্থ ও প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। ভাদ্রের ভ্যাপসা গরমে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে তাদের। এই ঘটনায় দু’জনের পরিবারসহ গোটা এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
বৃহস্পতিবার (৩সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পশ্চিমমেড্ডা এলাকার জাহের মিয়ার পুকুরে ঘটে এই মর্মান্তিকতা। নিহতেরা ওই এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে মিথিলা আক্তার (৬) এবং প্রবাসী সাইদুল ইসলামের মেয়ে শামসুন্নাহার (১০)।
নিহতদের পরিবার এবং স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী সাইদুল ইসলামের মেয়ে শামসুন্নাহার মডেল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী এবং নুরুল ইসলামের মেয়ে মিথিলা স্থানীয় পশ্চিমমেড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। সম্পর্কে তারা খালা-ভাগ্নি। বৃহস্পতিবার দুপুর অনুমান ১২ টার দিকে ভাদ্রের ভ্যাপসা গরম থেকে আরাম পেতে খালা-বোনঝি মিলে স্থানীয় জাহের মিয়ার পুকুরে গোসল করতে যায়। এরই এক পর্যায়ে প্রথমে মিথিলা পানিতে তলিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করতে খালা শামসুন্নাহার এগিয়ে গেলে সেও পানিতে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় প্রতিবেশী আরমান মিয়া, সুমন মিয়া ও ইমন মিয়া জানান, ‘কিভাবে তারা পানিতে পড়লো তা সঠিকভাবে এখনো বলা যাচ্ছেনা। ধারণা করা হচ্ছে গোসল করতে গিয়েই তারা ডুবে মারা গেছে। তাদের এই অবস্থায় দেখে আমরা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৈয়দ আরিফুল ইসলাম জানান, ‘শিশু দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার অন্তত আধঘন্টা আগেই তারা মারা গেছেন। এখন তারা এ ঘটনায় পুলিশ কেইস না করে লাশ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাধীন ১নং ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আবুল হাসান খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,’ঘটনাস্থলটি পুুুুলিশ পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।’