ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লোকালয়ে শেয়ালের হানা : নারী-শিশুসহ অর্ধশতাধিককে কামড়িয়ে আহত

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
রাত্রিকালে আচমকা লোকালয়ে শেয়ালের হানা। হামলে পড়ে মানুষের উপর। এলোপাথারি কামড়িয়ে আহত করে অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষকে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গ্রামবাসী ধাওয়া করে একটি শিয়ালকে পিটিয়ে মারতে সক্ষম হলেও অন্যটি লোকালয় ছেড়ে পালিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে ৩২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা নিয়েছেন প্রাথমিক চিকিৎসা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা এলাকায় শেয়াল আতঙ্ক বিরাজ করছে। 
শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের তাঁজপুর গ্রামে ঘটে খীতিকর এই ঘটনার সূত্রপাত। গ্রামবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে দুটি শিয়াল আচমকা লোকালয়ে প্রবেশ করে। স্থানীয়রা কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই গ্রামের অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ-শিশুকে কামড়িয়ে আহত করে। স্থানীয় গ্রামবাসীর মাঝে শেয়াল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করে একটি শিয়ালকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে সক্ষম হলেও অন্যটি লোকালয় ছেড়ে পালিয়ে যায়। শেয়ালের কামড়ে আহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী-শিশু। তাদের মধ্যে ৩২ জনকে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল (সদর) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এদিকে শেয়াল  আতঙ্কে স্থানীয় এলাকাবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে রাত জেগে পাহাড়া দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী হারুন মিয়া বলেন, হঠাৎ একটি শিয়াল আমার ভাই ও ভাতিজিকে কামড়িয়ে পালিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশী গোলাপ মিয়া এগিয়ে এসে একটি শিয়ালকে ঝাপটিয়ে ধরলে সবাই গিয়ে শিয়ালটি পিটিয়ে মেরে ফেলে। অপর শিয়ালটি পালিয়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ শওকত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘হাসপাতালে ৩২ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে টিকা দেয়া হয়েছে।’