ভাষা সৈনিকের কলেজকে জাতীয়করণের দাবি

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
৫৫বছরের প্রাচীন ভাষা সৈনিক অজিতগুহ মহাবিদ্যালয়। এটি নগরীর প্রাচীন কলেজ গুলোর মধ্যে একটি। কলেজটিকে জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষক, তিন হাজার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সুধীজনরা।
কলেজ সূত্র জানায়, কলেজটি ১৯৭০সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বর্তমানে ভাষা সৈনিক অজিত কুমার গুহের কুমিল্লা শহরের সুপারিবাগানের বাড়িতে অবস্থিত। দেশের বিশিষ্টজনদের নামের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়েছে। ৫৫বছরের প্রাচীন কলেজটি জাতীয়করণ হলে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। কলেজটিকে জাতীয়করণের সাথে ভাষা সৈনিক অজিতগুহকেও মূল্যায়নের দাবি উঠেছে। তার মধ্যে রয়েছে তার জীবনী পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত ও মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রদান।
কলেজের দ্বাদশ (বিজ্ঞান) শ্রেণীর ছাত্রী ইসরাত জাহান সিমি,ইফাত জাহান আমরিন ও ইকরামুল ইসলাম বলেন,নগরীতে কুমিল্লা ভিক্টেরিয়া কলেজসহ মাত্র চারটি সরকারি কলেজ রয়েছে। এগুলোর আসন সংখ্যা সীমিত। বেসরকারি কলেজের বেতন দিয়ে পড়া অনেকের জন্য কঠিন হয়ে যায়। তাই ভাষা সৈনিক অজিতগুহ মহাবিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণের দাবি জানাই।
কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. মোস্তাক আহমেদ এবং সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা হোসেন চৌধুরী বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অনেকে ভর্তি হয় কিন্তু বেতন দিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেন না, কিছু শিক্ষার্থী ঝরে যায়। এটি জাতীয়করণ হলে ওইসব শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
কলেজ অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ভাষা সৈনিক অজিতকুমার গুহ ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য একাধিকবার গ্রেফতার হন। তার জীবনী পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্তকরণ, স্বাধীনতা পদক প্রদান ও কলেজটি জাতীয়করণের দাবি জানাচ্ছি। জীবনী পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্তকরণে বর্তমান প্রজন্ম তাকে নতুন করে জানার সুযোগ পাবে।
উল্লেখ্য-অধ্যাপক অজিতকুমার গুহের রবীন্দ্র সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্য ছিলো। তিনি চিরকুমার ছিলেন। ১৯৬৯ সালের ১২নভেম্বর কুমিল্লার সুপারিবাগানের বাসায় তিনি পরলোক গমন করেন।

inside post
আরো পড়ুন