ভিক্টোরিয়ায় দেশ সেরা প্রাণিবিদ্যা মিউজিয়াম

 

অফিস রিপোর্টার।।
সরকারি বেসরকারি কলেজের মধ্যে দেশ সেরা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে দেড় হাজারের বেশি মৃত প্রাণীর নমুনা। রয়েছে ৭৫বছরের প্রাচীন নমুনাও। মিউজিয়ামটি উন্মুক্ত রয়েছে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্যও। এই দাবি করেছেন কলেজের ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.মহিউদ্দিন মো.শাহজাহান ভুইয়া।
সূত্র জানায়,১৮৯৯ সালে শিক্ষানুরাগী রায় বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায় মহারানী ভিক্টোরিয়ার নামে কুমিল্লা নগরীর রানীর দিঘির পাড়ে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে শহরতলীর ধর্মপুর এলাকায় কলেজের ডিগ্রি শাখা স্থাপন করা হয়। কলেজে বর্তমানে ২৯হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এর জীববিজ্ঞান বিভাগ স্থাপিত হয় ১৯৪৮সালে। প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ ১৯৬২সালে ও প্রাণিবিদ্যার অনার্স কোর্স চালু হয় ১৯৯৬সালে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,থরে থরে সাজানো বিভিন্ন প্রাণীর নমুনা। রয়েছে সাপ,ব্যাঙ,ইঁদুর,কাঁঠ বিড়ালী,মাছ,পাখিসহ নানা মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণীর নমুনার সমারোহ। রাসায়নিকে ভেজানো নমুনা শিক্ষার্থীরা নেড়েচেড়ে দেখছেন। কেউ কেউ নোট নিচ্ছেন। শিক্ষকরা বর্ণনা করছেন নমুনার জীবন প্রকৃতি নিয়ে। দেখা মিললো ১০রকমের সাপের নমুনা। যেন এখনও জীবন্ত।
বিভাগের প্রধান ড.মহিউদ্দিন মো.শাহজাহান ভুইয়া বলেন, ৪টি বিশ^বিদ্যালয় ছাড়া দেশের অন্যান্য বিশ^বিদ্যালয় ও সরকারি বেসরকারি কলেজের মধ্যে সেরা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে দেড় হাজারের বেশি নমুনা। রয়েছে ৭৫বছরের পুরাতন নমুনাও। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নমুনা সংখ্যা ৩হাজারের বেশি করবো।
কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী ইমরান শফিক সোহাগ, রেজাউল হক ফাহাদ ও তৃতীয় বর্ষের রেজাউল করিম বলেন, ভালো মিউজিয়াম ছাড়া এই বিভাগে পড়া অর্থহীন,সেনিরিখে আমরা সৌভাগ্যবান। সম্প্রতি অধ্যক্ষ মহোদয় উদ্যোগ নিয়ে মিউজিয়ামটিকে সংস্কার করেছেন। সমৃদ্ধ মিউজিয়ামের কারণে আমরা হাতে কলমে সহজে শিখতে পারছি।
অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান বলেন, এখানে ৭০ বছরের প্রাচীন নমুনা রয়েছে। সেগুলো যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কলেজ এডুকেশন ডেভোলেপমেন্ট প্রজেক্টের(সিসিডিপি) আওতায় এটির উন্নয়ন করা হয়। এর দৃষ্টিনন্দন সংস্কার বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের পছন্দ হওয়ায় তিনি এর উদাহরণ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তুলে ধরেন। আমরা এই মিউজিয়ামে অন্য কলেজের শিক্ষার্থীদেরও অনুমতি সাপেক্ষে পরিদর্শনের সুযোগ দিচ্ছি। এটির সংগ্রহ বাড়ানো ও ডিজিটালের জন্য আমরা কাজ করছি।