‘ ভোজ্য তেলের আমদানির পয়সায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যাবে’

 

অফিস রিপোর্টার।।

কয়েক বছরের ভোজ্য তেলের আমদানির পয়সা দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যাবে। তাই আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। এজন্য কৃষকদের সরিষা উৎপাদনে গুরুত্ব দিতে হবে। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার এতবারপুর এলাকায় মঙ্গলবার বিকালে আয়োজিত মাঠ দিবেসে ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। তিনি বলেন, দূষিত তেলের কারণে হৃদরোগ,ডায়বেটিস ও গ্যাসট্রিকসহ বিভিন্ন রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।

প্রতিকূলতা সহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল বিনা সরিষা-৪ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আয়োজিত মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন, বিনা কুমিল্লার উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।

 

বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, বিনা কুমিল্লার উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন, বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসা. আফরিনা আক্তার।

 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সরিষার অপার সম্ভাবনাময় কুমিল্লা জেলা। যখন সরিষা বপন করা হয় তখন ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে আঘাত হানে। সপ্তাহ ব্যাপী বৃষ্টিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মাঠে প্রচলিত স্থানীয় ও অন্যান্য সরিষা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু ভারী বৃষ্টিজনিত সাময়িক জলাবদ্ধতা সহনশীল বিনা সরিষা-৪ প্রতিকূলতা কাটিয়ে ভালো ফলন দেয়। এ জাতটি পাতা ও ফলের ঝলসানো রোগ প্রতিরোধী, মাটির অতিরিক্ত আর্দ্রতায় চাষবিহীন জমিতে বপনযোগ্য। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৪%, জীবনকাল ৮২-৮৫ দিন। গড় ফলন প্রতি একরে ২০ মণ। দেশে দুই ফসলি জমির আমন ও বোরোর মাঝের সময়ে প্রায় ২২ লাখ হেক্টর জমি পতিত থাকে। আমন আর বোরোর মাঝে যদি আমরা এই পতিত জমি চাষের আওতায় আনা যায় তাহলে বছরে তেলের উৎপাদন আট থেকে ১০লাখ টন বাড়বে। এতে আর তেল আমদানি করতে হবে না।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিনা কুমিল্লার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল সরকার, অর্পিতা সেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শতাধিক কৃষক-কৃষাণী।