মনোহরগঞ্জে শহীদ শামছুল হকের পরিবারকে মূল্যায়নের দাবি

প্রতিনিধি।।
ফুলপুকুরিয়া। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের একটি গ্রাম। ওই গ্রামের সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শামছুল হক। বিভিন্ন জাতীয় দিসবগুলোতে তার পরিবারের সদস্যরা উপেক্ষিত থাকেন। তাদের মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
সূত্র জানায়,শহীদ শামছুল হক ওরফে সামছুল হুদা উপজেলার ফুলপুকুরিয়া গ্রামের মীর বাড়ির প্রয়াত বন্দে আলী মীরের সন্তান। চার ভাই-বোনের মধ্যে শহীদ শামছুল হক ছিলেন সবার বড়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সে সময় স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়ে তিনি শহীদ হন।
লাকসাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান বলেন, শামছুল হক দেশের জন্য যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন। তাঁকে কসবায় গণকবরে দাফন করা হয়েছিল। তাঁর নিজের জীবনকে উৎসর্গ করার বিষয়টি নতুন প্রজন্মকে জানানো উচিত। এক্ষেত্রে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভূমিকা জরুরি। তার পরিবারকেও মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
শহীদ শামছুল হকের ছোট ভাই আলী আকবর মীর, ছোট বোন সৈয়দা সায়েরা খাতুন ও ভাতিজা আবদুর রহমান বলেন, তার কোন সন্তান নেই। স্ত্রীর পরবর্তীতে অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। ২০২১ সালে আমাদের বাড়ির সামনে তার স্মৃতি হিসেবে একটি কবর নির্মাণ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এদিকে আজ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেউ শহীদ পরিবার হিসেবে তাদের খোঁজ নেয়নি। জাতীয় দিবসগুলোতেও পরিবারের কাউকে স্মরণ করা হয় না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজালা রানী চাকমা বলেন, মনোহরগঞ্জ উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল আজিজ সাহেব দেখেন। দাওয়াতে কোন সমস্যা হয়েছে কি-না, বিষয়টি তাঁর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হতে পারবো।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ বলেন, শহীদ শামসুল হকের কোন ওয়ারিশ আছে কি-না বিষয়টি আমি নিশ্চিত নই। যদি কোন ওয়ারিশ থাকে তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তাহলে আমরা পরবর্তী সকল আয়োজনে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাবো।