মাইকে খুতবা দেয়া নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা

প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মুরাদনগরে জুমার নামাজে মাইকে খুতবা দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামরির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। একটিতে ২১জন অন্যটিতে ২৪জন আসামি করা হয়েছে। এঘটনায় ৩জনকে আটক করেছে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ। তাদের রবিবার কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের কুরন্ডি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, সাবেক মেম্বার নুরুল ইসলাম গত ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল বর্তমান মেম্বার সবুজ মিয়া। নির্বাচনী সেই প্রতিহিংসার জেরে ইউপি সদস্য সবুজ মিয়া তার প্রতিপক্ষ প্রার্থী নূরুল ইসলামের পরিবারকে ঈদের নামাজে বাধা দেয়। তখন তারা আলাদা একটি মসজিদ তৈরি করেন। সেখানেই জুমাসহ সকল প্রকার নামাজ আদায় করে আসছিল নুরুল ইসলামের পরিবারের লোকজন। ২৬ আগস্ট শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদের মাইকে খুতবা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। শনিবার ভোর ৭টায় ইউপি সদস্য সবুজ ও তার লোকজন নুরুল ইসলামের ভাই ইউনুছের বসত ঘরে হামলা চালায়। এসময় ইউনুছ মিয়ার ঘর থেকে ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সবুজ মেম্বারের লোকজনের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ইউনুছসহ ওই পরিবারের ৯ জন আহত হয়। তারা ইউনুছ মিয়ার একটি দোকান ও কুরন্ডি ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
নুরুল ইসলাম মেম্বারের ভাই শিশু মিয়া বলেন, নির্বাচনের পর সবুজ মেম্বার ও তার লোকজন আমাদের কেন্দ্রীয় মসজিদে যেতে বাধা প্রদান করেন। তখন আমরা মসজিদ থেকে ১শ’গজ দূরে ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় নামাজ শুরু করি। সেখানে জুমার নামাজের মাইকে খুতবা দেওয়ার সময় তারা আমাদের ইমাম সাহেবকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। ভয়ে ইমাম এলাকা ত্যাগ করেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মারামারির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। উভয় পক্ষের ৩জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের রবিবার দুপুরে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামিদের আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।