মাঠে অসময়ে হাসছে রঙিন টমেটো

অফিস রিপোর্টার।।
শীতকালীন ফসল টমেটো। তবে এই অসময়ে টমেটো চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কুমিল্লার কৃষকরা। ভালো ফলন পেয়েছে। চাহিদা থাকায় ভালো লাভও পাচ্ছেন। তাদের দেখে আগামী মৌসুমে অন্য কৃষকরাও এই সময়ে টমেটো চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ বছর কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় প্রথমবারের মতো ৩ শতক করে ১০ টি রাজস্ব প্রদর্শনী ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে আরো ৫ জন কৃষক গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করেন। টমেটো বিক্রয় প্রায় শেষের দিকে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়,হরিপুর, বুড়িচং সদর, ময়নামতি, পারুয়ারা গ্রামের চাষিরা ভালো ফলন পেয়েছেন। খেতে রঙিন টমেটোর হাসি ছড়িয়ে পড়েছে। চাষি টমেটো তুলছেন। খেত থেকেই খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা টমেটো কিনে নিচ্ছেন। জমিতে নগদ টাকা পেয়ে খুশির আভা ছড়িয়ে পড়ে কৃষকের মুখে। এদিকে জমি থেকে তাজা টমেটা কিনে খুশি ক্রেতারাও।
হরিপুর গ্রামের কৃষক মো. সোহেল মিয়া জানান, তিনি প্রথমবারের মতো চাষ করেছেন গ্রীষ্মকালীন টমেটো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পাওয়া রাজস্ব খাতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রদর্শনীর আওতায় ৩ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন বারি টমেটো-৮। গত ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা প্রচণ্ড তাপদাহে টমেটোর ঢলে পড়া রোগের চোখ রাঙ্গানি অপেক্ষা করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। নিজের টাকায় শুধু পলি টানেলের বাঁশ ও কিছু ছত্রাকনাশক কিনেছেন। সার ব্যবস্থাপনা, সেচ ব্যবস্থাপনা, রোগ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনার সকল পরামর্শ কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ও উপসহকারি কৃষি অফিসার দিচ্ছেন। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি করে টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে জমি থেকেই বিক্রি হচ্ছে। আশা করি ৩০ হাজার টাকা লাভ হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ বেশ লাভজনক, তবে চ্যালেঞ্জিং। এ বছর প্রচণ্ড তাপদাপে ঢলে পড়া রোগ ঠেকাতে আমাদের বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে সুপরামর্শ আর পরিকল্পিতভাবে আগালে সফলতা পাওয়া সম্ভব। আগামীতে আরো নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে এগিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা করছি।