মাঠে সোনা রঙের ধান তবুও কপালে চিন্তার ভাঁজ

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মনপাল গ্রাম। এখানের জমি গুলো এক ফসলী। বিশেষ করে বোরো মৌসুমের ফসলে গোলা ভরে তোলেন কৃষক। এই ফসল নষ্ট হলে তার সারা বছর টানাটানি লেগে থাকে। এখানের মাঠে এবার ভালো ফসলের সোনা রঙের ঝিলিক দেখা যাচ্ছে। তবে বৃষ্টিতে অনেকের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া চলতি সপ্তাহে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাদের একজন আলী আকবর। তিনি এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। ভালো ফলন হয়েছে। কেটে জমিতে বিছিয়ে রেখেছেন। খড় শুকিয়ে গেলে বাড়িতে এনে মাড়াই করবেন। ধান গোলায় আর খড় গাদায় তুলবেন। তবে কেটে রাখা ধানের ওপর বৃষ্টি আসায় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জমিতে পানি জমে কাটা ধান ডুবে গেছে। তার মতো কুমিল্লার ১৭ উপজেলার হাজারো কৃষক বৃষ্টি বিড়ম্বনায় পড়েছেন। ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দু:শ্চিন্তায় আছেন।
কুমিল্লা কৃষি অফিসের সূত্র জানায়, বোরো মৌসুমে জেলায় বেশি ধান উৎপাদন হয়। জেলায় এবার এক লাখ ৬১হাজার ৭৯০হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর আগে আউশ চাষ হয়েছে ৮০হাজার ২৩৬ হেক্টর জমিতে,আমন চাষ হয়েছে ৬৮হাজার হেক্টর জমিতে। এই পর্যন্ত বোরোর ১০ভাগ ধান কাটা হয়েছে। আগামী ২০দিনে ৮০ ভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে।
লাকসামের মনপাল গ্রামের কৃষক আলী আকবর ও বুড়িচং উপজেলার রামপুর এলাকার কামাল উদ্দিন বলেন,কাটা ধানের জমিতে পানি জমায় বেকায়দায় পড়েছি। বাড়িতে নেয়া ও ফসল মাড়াইয়ে বেশি খরচ লাগছে। টানা বৃষ্টি হলে কাটা ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বুড়িচং উপজেলার রামপুর এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতানা ইয়াসমিন বলেন,আমার এলাকার কিছু জমিতে পানি জমেছে। কৃষকরা সাময়িক সমস্যায় পড়েছেন। টানা বৃষ্টি না হলে আশা করি বড় ধরনের কোনো সমস্যা হবে না।
সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির খান বলেন, দেশে বোরো মৌসুমে এক তৃতীয়াংশের বেশি পরিমাণ ফসল উৎপাদন হয়। তাই এই সময়ের ফসল নিয়ে কৃষক খুব আশাবাদী থাকেন। আমার উপজেলার ফসল আরো কয়েকদিন পর কাটা হবে। তাই এখানে তেমন সমস্যা হওয়ার আশংকা নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন,মাঠে বোরোর চমৎকার ফসল হয়েছে। এখন ধান কাটা চলছে। তবে কৃষকদের আবহাওয়ার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। এখন ধান কেটে জমিতে রেখে খড় শুকানো যাবে না। ফসল কেটে বাড়িতে নিয়ে আসতে হবে।
