মাধাইয়া খাল পুন:খননে কৃষকদের মাঝে খুশির আমেজ


অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া খাল। খালটি পুন:খননে ওই এলাকায় ফসল উৎপাদন বাড়বে। আসবে সোনালি ফসলের সুদিন। এতে হাজারো কৃষক পরিবারে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। শনিবার খালটি পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) মো. আব্দুস সামাদ, সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্রসেচ) প্রকৌশলী সুলতান আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) প্রকৌশলী শিবেন্দ্র নারায়ণ গোপ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, কুমিল্লা (ক্ষুদ্রসেচ) সার্কেল ও কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এদিকে একই দিন বিএডিসির চেয়ারম্যান কুমিল্লায় কৃষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, চৌদ্দগ্রাম ইউনিট অফিস কাম ট্রেনিং সেন্টার উদ্বোধন, দাউদকান্দির বড় হরিণা বিল এলাকায় জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য অবকাঠামোসহ ভূ-গর্ভস্থ ড্রেনেজ পাইপ লাইন নির্মাণ ও দাউদকান্দির পদুয়া এলাকায় ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ পরদর্শন করেন।


বিএডিসি ও স্থানীয় সূত্র জানায়,চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের মাধাইয়া, শাওরাতলী, অম্বরপুর,নাজিরপুর, কুটুমপুর ও পশ্চিম কুটুমপুর মৌজায় অবস্থিত মাধাইয়া খালটি। এটির দৈর্ঘ্য ৮.২ কিলোমিটার। পলিতে ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা ছিল না। এতে প্রায় ৫০০ একর আবাদী জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। কৃষকরা যথাসময়ে তাদের চাহিদা মতো ফসল উৎপাদন করতে পারতেন না। বিএডিসি’র কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে খালটির ৮.২০ কিলোমিটার পুনঃখনন করায় ৫০০ একর জমির জলাবদ্ধতা নিরসন হয়। এসব জমিতে আউশ-আমন ধানসহ বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি, ফলমূল ইত্যাদি উৎপাদন করা সম্ভব হবে। হাজারো কৃষক পরিবার সরাসরি উপকৃত হবে। প্রতি বছর প্রায় ৮০০ মেট্টিক টন খাদ্য শস্য উৎপাদন সম্ভব হবে। এছাড়াও খালটি পুনঃখননে ভূ-উপরিস্থ সেচের পানির জলাধার হিসেবে কাজ করবে। স্থানীয় কৃষকরা সেই জলাধারের পানি ব্যবহার করে পাশের জমিতে সেচ প্রদানের মাধ্যমে অধিক ফসল উৎপাদনে সক্ষম হবে।
কুমিল্লা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চাঁদপুর সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রায় ৫০০ একর ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। তাই এসব জমিতে আউশ-আমান ধান উৎপাদন করা সম্ভব হতো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। সেনিরিখে বিএডিসি কাজ করছে। খালটি পুন:খননে আগামী মৌসুমে ওই এলাকায় ফসল উৎপাদন বাড়বে।