মামাতো বোনের টাকা চুরি!

মোহাম্মদ শরীফ
আম্মুরা পাঁচ বোন এক ভাই। তাঁদের নাম গুলো বেশ মজার। আমি ছোট বেলায় মুখস্ত করে ফেলেছিলাম। আয়চাঁন, নূরচাঁন, রুপবান, মনো, মমিনা। মমিনা খালামনি ছিলেন সবার ছোট। তার ঢাকা বিয়ে হয়েছিল বলে আমরা ‘ঢাকার খালা’ ডাকতাম। ছোট বেলায় খালাকে দেখলে মনে হতো যেন রাজার স্ত্রী মহারাণী। খালা তার বাবার বাড়ি আসলে আমরা নানার বাড়িতে ছুটে যেতাম। কারণ খালা সবার জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসতেন। আবার ঢাকা ফেরার পথে খালা নতুন ৫/১০ টাকার নোট আমাদের সবাইকে দিয়ে যেতেন। এমন কি পুরো বাড়ির মুরব্বিরাও বাদ যেতো না এই নতুন নোট থেকে। ঈদের সময় আমাদের জন্য জামা নিয়ে আসতেন। খালাতো ভাইদের পুরনো প্যান্ট-শার্ট গুলো ভাল করে ধুঁয়ে আয়রণ করে আনতেন। আমি জামা হাতে পেলে নাকে শুকে দেখতাম। কি দারুণ লাগতো তখন আয়রণ করা কাপড়ের ঘ্রাণ!
তবে তার আগে আমি আরো একটা কাজ করতাম। জামার সব গুলো পকেট চেক দিতাম। মাঝে মাঝে কিছু টাকাও পাওয়া যেত পকেটে!
একবার খালা ঢাকা ফেরার পথে আমাকে ২০ টাকা ও বড় মামতো বোন কাকনকে ২০ টাকা দিয়ে গিয়েছিল। দুজনকে সমান দেওয়াতে আমার রাগ হয়েছিল খুব। তাই বাড়ি ফেরার পথে ছোট ডিব্বায় রাখা কাকনের ২০ টাকা চুরি করে নিয়ে এসেছিলাম! বিষয়টা মনে পড়লে এখনো লজ্জাবোধ করি। এখনো স্যরি বলা হয়নি কাকনকে। কাকন এখন দুই বাবুর মা। তার স্বামী পুলিশ সদস্য। না জানি পুলিশ এই ঘটনা শুনে আমাকে জেলে নেয়!