জেলে যাওয়া ক্যান্সার আক্রান্ত সাদ্দামের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার।

কুমিল্লার দেবিদ্বারে আলোচিত শান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাক্ষী দিতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া ক্যান্সার আক্রান্ত সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে অসুস্থতা বেড়ে গেলে ঢাকা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান সাদ্দাম। পরিবারের দাবি মিথ্যা মামলায় সাদ্দামকে জেলে নেওয়া হয় ৯ জুলাই। ১১ জুলাই সাদ্দামের ক্যান্সার চিকিৎসার ক্যামোথেরাপি ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে দেওয়ার কথা ছিল। থেরাপির দুইদিন পূর্বে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে থাকায় থেরাপি দেওয়া সম্ভব হয়নি।  যার কারণে সাদ্দামের স্বাস্থ্য ক্রমান্বয়ে ভেঙে পড়ে ৷  তার হিমোগ্লোবিন কমে ৪.৫ এ নেমে আসে। জন্ডিস ও জ্বর বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন অসুস্থ থেকে শুক্রবার রাতে মারা যান সাদ্দাম।

সাদ্দামের ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন,’ নুরপুর বাসী সবাই জানে প্রকাশ্যে সাজিব শান্তকে হত্যা করেছে ৷ সাজিবকে গ্রেফতারের আদেশও দিয়েছে আদালত। আমার ভাইটি অসুস্থ ছিল সবাই জানতো ৷ সে যেন চিকিৎসা নিতে না পারে সেজন্য তারা তাকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠায়। আমার ভাইকে মামলায় না জড়াতে আমি তাদের পায়েও ধরেছি। তারপরও তারা ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইকে মামলা দিয়েছে। যার কারণে আজ সে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে।

শুক্রবার বিকেলে নুরপুর এম আলী এন্ড এ বারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুপুর আড়াইটায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় সাদ্দামের লাশ। আড়াই বছর আগে বিয়ে করা সাদ্দামের দেড় বছরের আয়াত নামের একটি মেয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নুরপুরে ছুড়ির আঘাতে শান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় আরো চারজন।

নিহত মেহেদী হাসান শান্ত ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের সরকার বাড়ির জাকির হোসেনের ছেলে।