‘মেম্বারিতো হাইতেন ন্ হাইতেন ন্ -টেহাডিও মাইর’

কুমিল্লা লাকসাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবলীগের সভাপতি ও গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজাম উদ্দিন শামীম সম্প্রতি আজগরা ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সম্মেলনে বলেন, অ্যাড.ইউনুস ভুইয়া সাহেব (লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান), রফিকুল ইসলাম হীরা(উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক), অধ্যাপক আবুল খায়ের (পৌর মেয়র ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি) একশ’ পারসেন্ট গ্যারান্টি দিতেছে না।

টেকাগুলো কিন্তু পরে লইতেন হাইত্তেন ন্ হেতাগুত্তুন। কইলাম আমনেরারে। আইজকা যারা যারা দিছেন হাতে পায়ে ধরি টাকা গুলো নিয়ে নেন অন্তত। মেম্বারিতো হাইতে ন্ হাইতেন ন্ টেহাডিও মাইর। তাইলে দুইডা একসাথে হারাইলেতো আপনি স্ট্রোক করি মরি যাইবেন। তার বক্তব্যের মানে- আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা মেম্বার প্রার্থী হওয়ার জন্য বিভিন্ন নেতাদের কাছে টাকা দিয়েছেন তারা টাকা ফিরিয়ে নেন। না হয় মেম্বার প্রার্থী হওয়া ও টাকা উভয়ই হারিয়ে স্ট্রোক করে মারা যাবেন। দলীয় নেতাদের প্রতি বিষোদগার করে এমন বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিব্রত দলীয় নেতারা।

ভিডিওর বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম বলেন, এগুলো বহু আগেই শেষ হইয়া গেছে। সংবাদ সম্মেলন করে শেষ হইয়া গেছে। আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের নীতি নির্ধারক। আমাদের কাছে টাকা দিয়েও লাভ হবে না। তাই বলছি। টাকা নিয়ে ঘুরলে লাভ হবে না। এগুলো বলে সর্তক করেছি। আমার ভিডিও বক্তব্যও পুরোটা আসেনি। একজন লোক আমার বিরুদ্ধে লাগছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড.ইউনুস ভূইয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম মহোদয়ের সাথে বসেছি। সে(শামীম) তার ভুল বুঝতে পারছে। তবে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম। দল মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় আমরা তাকে সতর্ক করেছি। ভবিষ্যতে যেন এমন না হয়।