মোবাইলে প্রেম, কুমিল্লায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে বন্ধুদের দিয়ে গণধর্ষণ

আমোদ ডেস্ক।।

কুমিল্লায় ব্রা‏হ্মণপাড়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৫) অপরহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে রবিউল আউয়াল (২৯) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ অক্টোবর) থানায় মামলা দায়েরের পর উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ষাটশালা গ্রাম থেকে রবিউলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার রবিউল আউয়াল কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানার হায়দারাবাদ গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। অন্যদিকে, গণধর্ষণের শিকার কিশোরী নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রী।

পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার স্থানীয় মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে মুঠোফোনে পরিচয় হয় রবিউল আউয়াল নামের ওই যুবকের। পরিচয়ের সূত্র ধরে  (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর বাজারে দেখা করতে এলে রবিউল আউয়ালসহ আরও দুই সহযোগী মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোরপূর্বক প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। ওই দিনই ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি বাড়িতে মেয়েটিকে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা করেন রবিউল। তবে বিয়েতে সম্মত হয়নি ওই ছাত্রী। পরে নোটারি পাবলিকের একটি কাগজে সাক্ষর নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীকে সিলেটে নিয়ে যায় রবিউল এবং একটি হোটেলে আটকে রেখে একাধিকার ধর্ষণ করে।

পরদিন সকালে ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় রবিউল। এ সময় তার চিৎকারে হোটেলের লোকজন ছাত্রীকে বাথরুম থেকে উদ্ধার করেন।

ব্রা‏হ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ওইদিন দুপুরে ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার ষাইটশালা এলাকা থেকে রবিউলকে গ্রেফতার করে। 

ওসি বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল আউয়াল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত রবিউলকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।”