রান্নায় নারকেল তেলঃস্বাস্থ্য উপকারিতা

এই তেলে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। নতুন গবেষণা বলছে, স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের পক্ষে ভাল। এটি খারাপ কোলেস্টেরল আর ট্রাইগ্লিসারাইডকে কমিয়ে এইচডিএল বা ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। সে দিক থেকে দেখলে নারকেল তেলের রান্না খেলে শরীরের উপকারই হয়।

এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেল তেলের উপকারিতা ও ব্যবহার:

  কয়কেটি গবেষণায় দেখা গেছে যে নারিকেল তেল রক্তে উপকারি HLD কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে । এটি উন্নত বিপাকীয় কার্যক্রম বজায় রেখে নিশ্চিত ভাবে হার্টের সকল প্রকার রোগের ঝুকি মুক্ত রাখে।যাঁদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা সরাসরি ক্রিমের মতো মুখে নারকেল তেল লাগাতে পারেন। বাজারচলতি চুলের জন্য তৈরি নারকেল তেল না কিনে এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল কিনুন। নিয়মিত নারকেল তেলের ব্যবহার ত্বকের ক্ষতিকর ব্যাকটিরিয়া নষ্ট করে ত্বকে সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। ত্বকে কোনওরকম জ্বালাপোড়া ভাব হলে তা কমাতেও নারকেল তেল যথেষ্ট কার্যকর । ত্বকে ফরসাভাব আনতে নারকেল তেল আর হলুদ,  ত্বকের দাগ দূর করে উজ্জ্বলভাব আনতে সাহায্য করে। লেবুর অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ত্বক তেলতেলে হতে দেয় না। মধু আর নারকেল তেল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।

ত্বকে ফরসাভাব আনতে নারকেল তেল আর হলুদ,  ত্বকের দাগ দূর করে উজ্জ্বলভাব আনতে সাহায্য করে। লেবুর অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ত্বক তেলতেলে হতে দেয় না। মধু আর নারকেল তেল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।

কী লাগবে

**3 টেবিলচামচ নারকেল তেল**আধ চাচামচ হলুদ গুঁড়ো**আধ চাচামচ লেবুর রস 1 টেবিলচামচ মধু পদ্ধতি 1. পাত্রে সমস্ত উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে নিন 2. পরিষ্কার মুখে ফেস মাস্কটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’ থেকে তিনবার করতে হবে।এক কাপ গরম জলে এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এবার তুলার সাহায্যে কার্যকর জায়গায় এই মিশ্রণটি লাগান। এবার এটি শুকনো ছেড়ে রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে আপনি দিনে অন্তত দু’বার এটি করতে পারেন।ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে আপনি দিনে অন্তত দু’বার ব্যবহার করতে পারেন।ওজন কমাতেও নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, নারকেল তেলে মাঝারি চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড (MCFAs) যেমন লরিক অ্যাসিড, ক্যাপ্রিলিক অ্যাসিড এবং ক্যাপ্রিক অ্যাসিড রয়েছে। এই MCTs (মাঝারি-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড) ওজন কমানোর খাদ্যের একটি প্রধান অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়।একবারে খাঁটি নারকেল তেল যা মূলত ভার্জিন কোকোনাট অয়েল হিসেবে পরিচিত, তাতে থাকে ৯২ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত ফ্যাট।নারকেল তেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড যার জন্যই এই তেলের এত পুষ্টিগুণ। এতে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিডগুলোর মধ্যে লরিক অ্যাসিড আর মাইরিস্টিক অ্যাসিড খুব গুরত্বপূর্ণ।যে যে খাবার কিংবা ভোজ্য তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত ফ্যাট থাকে, তার মধ্যে সবেচেয়ে বেশি পরিমাণ থাকে এই ভার্জিন কোকোনাট অয়েলে। এই তেলের মধ্যে থাকে ৪৪% লরিক অ্যাসিড এবং ১৬.৮% মাইরিস্টিক অ্যাসিড।

প্রতি 100 গ্রাম নারকেল তেল এর পুষ্টিগত মান

★শক্তি-৩,৭৩০ কিক্যালরি (৮৯০ kcal)★স্নেহ পদার্থ-৯৯ g★সুসিক্ত স্নেহ পদার্থ-82.5 g★এককঅসুসিক্ত-6.3 g★বহুঅসুসিক্ত-1.7 g★ভিটামিন ই-(1%)0.11 mg★ভিটামিন কে-(1%)0.6 μg★লোহা-(0%)0.05 mg★phytosterols-86 mg ** ৮৯০ ক্যালোরি**৮২% স্যাচুরেটেড ফ্যাট, **৬% মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ** ২% পলস্যাচুরেটেড ফ্যাট। তাই অন্যান্য ভোজ্য তেলের সাথে তরকারী রান্নার সময় নারকেল তেলও রাখা যেতে পারে।এতে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি দেহে রোগ –ব্যাধির প্রকোপ কমবে বলে আশা করা যায়।

লেখকঃ মমিনুল ইসলাম মোল্লা,পুষ্টিবিদ,সাংবাদিক ও সিনিয়র সহ-সভপতি,নিচিচা,কুমিল্লা।