রোজা ভঙ্গের কারণ কী কী?

আমোদ ডেস্ক।।

 

inside post

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। ইসলাম ধর্মমতে, রোজা মুসলমানদের জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। বলা হয়েছে, ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে রোজা তৃতীয়।

 

সিয়াম ভঙ্গের কারণসমূহ: (১) ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়। অনুরূপ ধুমপান করলে অথবা চিনি-লবন জাতীয় কোন বস্তু মুখে রাখার পর থুতুু গিলে ফেললে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। তবে ভুলবশত কিছু খেয়ে নিলে অথবা জোরপূবর্ক রোজাদারকে কেউ কিছু খেতে বাধ্য করলে রোজা ভঙ্গ হবে না।

(২) ইচ্ছাকৃত বমি করলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়। তবে অনিচ্ছাকৃত বমির কারণে সিয়াম ভঙ্গ হবে না। যেমন মহানবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “যার অনিচ্ছাকৃত বমি আসে, তাকে সিয়াম কাযা করতে হবে না, আর যে ইচ্ছাকৃত বমি করে, সে যাতে তা কাযা করে (তিরমীজি)”।

(৩) রোজাদার সিয়াম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে, তাকে উক্ত রোজা কাযা করতে হবে এবং কাফফারা আদায় করতে হবে।

(৪) পানাহারের কাজ করে এমন ইনজেকশন গ্রহণ করাতেও রোজা ভঙ্গ হবে। ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য কিংবা অন্য কোন কারণে শরীরে ওষুধ প্রবেশ করানো হলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। শরীরের শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে যেমন গ্লুকোজ জাতীয় ইনজেকশন ব্যবহারে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারণ খাবার যেই কাজ করে এক্ষেত্রে অনেকটা একই কাজ করছে এটি। তবে শুধুমাত্র অপারগতায় চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ইনসুলিন, পেনিসিলিন জাতীয় ইনজেকশন নেওয়া হয়, তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না।

(৫) মহিলাদের হায়েয বা নিফাস হলে অর্থাৎ মাসিক রক্তস্রাব শুরু হলে অথবা সন্তান প্রসব করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। পরবর্তীতে সমান সংখ্যক রোজা কাযা করে নিতে হবে।

(৬) মুখ খোলা রাখার কারণে বৃষ্টির পানি কণ্ঠনালীতে প্রবেশ করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।

(৭) হস্তমৈথুন, আলিঙ্গন, অথবা চুম্বনের মাধ্যমে বির্যপাত ঘটালে রোজা ভঙ্গ হবে। তবে স্বপ্নদোষ বা রোগের কারণে বির্যপাত হলে রোজা ভঙ্গ হবে না। কেননা এতে রোজাদারের কোন ইচ্ছা ছিল না।

(৮) দাঁতে আটকে থাকা ছোলা পরিমাণ বা তার চেয়ে বড় খাদ্যদ্রব্য গিলে ফেললে অথবা এর চেয়ে কম পরিমাণ মুখ থেকে বের করে পূণরায় গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।

(৯) দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বের হয়ে তা কণ্ঠনালীতে পৌঁছালে এবং রক্তের স্বাদ অনুভূত হলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।

(১০) সাহরি গ্রহণের সময় রয়েছে মনে করে পানাহার করলো, কিন্তু দেখা গেলো সুবহে সাদিক শেষ হয়ে গেল। সে রোজা হবে না।

(১১) কুলি করার সময় অসতর্কতার কারণে কণ্ঠনালীতে পানি প্রবেশ করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।

আরো পড়ুন