লাকসামে মাদরাসার ৬ ছাত্র উদ্ধার: অভিযুক্ত ২জন আটক

 

প্রতিনিধি:
কুমিল্লার লাকসামে ৬ মাদরাসা ছাত্রকে উদ্ধার ও পাচারে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় লাকসাম থানায় রোববার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ১৩ মে দুপুরে জংশন এলাকার আজমিরি হোটেলের সামনে থেকে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য মোঃ মোবারক হোসেন (৫০) ও ইমন খান জিলন রায়হানকে (২৭) আটক করা হয়। এ সময় তাদের কবল থেকে চাঁদপুর ওয়ারলেস বাজারের ফজলুল উলূম হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ আবু সাঈদ (১৩), নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি আমলনগর এলাকার মেহেরাজ হোসেন (১৪), ঢাকা মুগদার মারকাজুল কওমী মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম (১২), চট্টগ্রামের অলংকার মোড়ের দারুস সুন্নাহ আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ ইমাম হাসান (১৫), চৌদ্দগ্রামের গুণবতী এলাকার জামিয়া ফারুকিয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ তামিম (১৫) ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার মোঃ ফাহিমকে (১৫) উদ্ধার করা হয়। পাচারকারীরা বিভিন্ন প্রলোভন ও কৌশলের আশ্রয় নিয়ে এ কোমলমতি শিশুদের নিয়ে আসে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, মোবারক হোসেন ও ইমন খানসহ মানব পাচারকারী চক্রের অন্যান্য সদস্যরা পঞ্চগড়, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মাদরাসা টার্গেট করে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের প্রলুব্ধ করে নিজেদের কব্জায় নেয়। পরে তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে প্রেরণসহ শারীরিক, মানসিক নিপীড়ন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাজ করায়।
লাকসামের লতিফুর রহমান খোকন নামের একজন অভিভাবক বলেন,তারা আমার এক ছেলেকে অপহরণ করেছিলো। তাদের কবল থেকে থেকে তাকে উদ্ধার করি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, উদ্ধারকৃত আবু সাঈদের পিতা মোঃ শাহীন খান বাদী হয়ে চক্রের আটককৃত ২ সদস্যসহ অজ্ঞাত আরও একজনকে আসামি করে মানব পাচার দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।