‘লালমাই পাহাড়ে তৈরি হচ্ছে হাজারো দক্ষ জনশক্তি’

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে স্থাপিত সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হচ্ছে হাজারো দক্ষ জনশক্তি। শিক্ষার্থীদেরকে কারিগরি ও গবেষণামূলক শিক্ষা প্রদান করে দেশের সম্পদে পরিণত করছে। বিদেশ থেকে আয় করছে বৈদেশিক মুদ্রা। কুমিল্লা কোটবাড়িতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণ করেন সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী, উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড.আলী হোসেন চৌধুরী, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো.মিজানুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মো.আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য ইফতিখারুল ইসলাম চৌধুরী সিয়ামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নগরীর কুমিল্লা টাউল হল থেকে টমছমব্রিজ পর্যন্ত আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। ক্যাম্পাসে কেককাটা শেষে আয়োজন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,ক্যাম্পাসজুড়ে খুশির আমেজ। করা হয়েছে আলোকসজ্জা। বর্তমানের সাথে সাবেক শিক্ষার্থীরাও এসেছেন। কেউ গান গাইছে। কেউ নাচছে। পরিবহনের মডেলের সাথে ছবি ও সেলফি তুলছে।
বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিকা ত্রিপুরা,কাউসার আহমেদ,ফারিয়া আক্তার বলেন, এখানে বিশ^বিদ্যালয় গড়ে উঠায় আমরা শিক্ষার সুযোগ পেয়েছি। বিশেষ করে খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের সুবিধা হয়েছে।
সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মতো আমরাও শিক্ষার্থীদেরকে কারিগরি ও গবেষণামূলক শিক্ষা প্রদান করে দেশের সম্পদে পরিণত করার কাজ করছি। ২০১৪ সালে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে পথচলা শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজারের বেশি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড.আলী হোসেন চৌধুরী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন এমন কথা প্রচলিত থাকলেও আমরা সেই ধারণাও বদলে দিয়েছি। যার কারণে সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও পড়াশোনা করছে।
উল্লেখ্য-২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং তিনটি, অনার্স (সম্মান) ছয়টি এবং মাস্টার্স দুইটি বিভাগে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।