ল্যাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় কুমেকে ছয়দিন বন্ধ করোনা পরীক্ষা

 

আমোদ ডেস্ক।।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের (কুমেক) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় গত ছয়দিন ধরে বন্ধ রয়েছে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কার্যক্রম। গত ৩০ নভেম্বর করোনা পরীক্ষার সময় ল্যাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি টের পান সেখানে কর্মরতরা। পরে গত ১ ডিসেম্বর থেকে করোনা পরীক্ষা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় কুমেক কর্তৃপক্ষ। এরপর ছয়দিন পার হলেও এখনো ল্যাবটি ভাইরাস মুক্ত হয়নি। এদিকে গত ৬দিন ধরে কুমেকের ল্যাবে করোনা পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন করোনার নমুনা দেওয়া ব্যক্তিরা। এছাড়া যাদের করোনার উপসর্গ রয়েছে তারাও পড়েছেন বিপাকে। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন বিদেশগামী ব্যক্তিরা।

কুমেক সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে একটি মেশিনে পরীক্ষা শুরু হলেও পরে আরও একটি মেশিন স্থাপন করা হয়। ১ ডিসেম্বর থেকে কুমেকে করোনা পরীক্ষা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, কুমেকে করোনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগও। পিসিআর ল্যাব বন্ধ থাকায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ও নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রেখেছে। তবে বিদেশগামীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম, ঢাকার বিভিন্ন ল্যাব পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু এসব ল্যাব থেকে নমুনার ফল পেতে দেরি হচ্ছে।

সামছুল আলম নামে নগরীর এক বাসিন্দা জানান, আমি গত ২৯ নভেম্বর করোনার নমুনা দিয়েছে। কিন্তু সাত দিন পার হলেও এখনো পরীক্ষার ফলাফল পাইনি। মনে হচ্ছে করোনা শনাক্ত হলেও সুস্থ হবার পর রিপোর্ট পাবো।

সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে আমাদের কোন রিপোর্ট সরবরাহ করেনি কুমেকে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তাদের ল্যাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। কুমেকের ল্যাব বন্ধ থাকায় আমরা নমুনা সংগ্রহও বন্ধ রেখেছি। তবে বিদেশগামীদের দেওয়া নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে পাঠানো হচ্ছে। এতে রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল আজাদ বলেন, আমরা ৩০ নভেম্বরও করোনা পরীক্ষা করেছি। ওইদিন হঠাৎ ল্যাবে কর্মরতরা লক্ষ্য করে দেখেন শনাক্তের হার অনেক বেড়ে গেছে। পরে আমরা নিশ্চিত হই পুরো ল্যাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা প্রথমে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করি, কিন্তু পারিনি। ল্যাবের এই সমস্যা সমাধানের জন্য রোববার ঢাকা থেকে লোকজন এসেছে। আশা করছি সোমবার সকাল থেকেই করোনা পরীক্ষা শুরু করতে পারবো।