শতভাগ উৎসব ভাতার দাবিতে কর্মচারীদের কর্মবিরতি

প্রতিবেদক।।

উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশের স্থলে শতভাগ করার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ।
কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি এবং ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী তুষার আহমেদর নেতৃত্বে সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লা জেলার সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
তিনি জানান ২০০৪ সাল থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক’রা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে উৎসব ভাতা বৃদ্ধির আশ্বাস দেন। কিন্তু চলতি বছরের ২৬ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সম্মতিপত্রে দেখা যায় কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধি পাচ্ছে না। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধি পাবে। অথচ কর্মচারীদের বৃদ্ধি পাবে না এই বৈষম্য আমরা কর্মচারীরা মেনে নেবো না।
মো. তুষার আহমেদ বলেন-বেসরকারি শিক্ষকদের ২৫% থেকে ৫০% বৃদ্ধি করে দুইটি উৎসব ভাতা প্রদান করা হবে আর কর্মচারীদের কোন ভাতা বৃদ্ধি হবে না। এটি একটি হটকারী সিদ্ধান্ত। তিনি কর্মচারীদের ভাতা বৃদ্ধির জোর দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন আমরা এমপিওভুক্ত (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহে কর্মরত কর্মচারীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে আসছি। কর্মচারীদের বেতন স্কেল কম হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে কর্মচারীরা নিম্ন বেতন স্কেল ভুক্ত হিসেবে কর্মরত। আমারা নানা বৈষম্যের শিকার।
মানবিক বিবেচনা করে ২০০১-২০০৬ মেয়াদে তৎকালীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৩ সালের জুলাইয়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুকের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বেসরকাারি শিক্ষকদের বছরে দুই ভাগে মূল বেতনের ৫০% এবং কর্মচারীদের মূল বেতনের ১০০% উৎসব ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন। আমরা অনতিবিলম্বে কর্মচারীদের ১০০% উৎসব ভাতা প্রদানে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে গত ২৭মে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান (আদনান হাবিব) স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে জানানো হয় ২৮ মে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও কালো ব্যাচ পরিধান, ২৯ মে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও কালো ব্যাচ ধারণ এবং রবিবার (০১ জুন) মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।