‘শুধু সম্পত্তি দখল করার জন্য বলে কেউ হিন্দু কেউ বৌদ্ধ’

আবু সুফিয়ান রাসেল।।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা এক হই। শুধু সম্পত্তি দখল করার জন্য বলে কেউ হিন্দু, কেউ বৌদ্ধ। বলে হিন্দু খারাপ। জমি দখল হয়ে গেলে হিন্দু ভালো হয়ে যায়। এসব কারণে অনেক হিন্দু দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। অনেক দুর্বল মানুষ তার সম্পত্তি ফেলে চলে গেছে, টাকা পায় নাই। আজকে কথা হলো ধর্ম যার যার উৎসব, সবার।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা মো. মফিজুর রহমান বাবলু এ বক্তব্য রাখেন। বৌদ্ধ ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথেরের ১১২তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এ বক্তব্য দেন। কুমিল্লার লাকসামের বরইগাঁও গ্রামে জ্যোতি:পাল মহাথের বৌদ্ধ মহাবিহার কমপ্লেক্স মাঠে এ দুই দিন ব্যাপী আয়োজন করা হয়।
পন্ডিত সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি উচ্চমানের দর্শন থেকে এ সমাজকে দেখেছেন। তার জীবনবোধ ছিলো। তিনি মানুষের জন্য কাজ করেছেন। মানুষ আজ তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য মেজর হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি বাবু নেত্রসেন বড়ুয়া, সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া, প্রধান আলোচক ছিলেন বিশ্বনাগরিক ড. ধর্মকীর্তি মহাথের, আলোচনা করেন সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথের মৈত্রী পরিষদের উপদেষ্টা ভদন্ত এস লোকসিৎ মহাথের, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক অনির্বাণ বড়ুয়া। উদ্বোধক ছিলেন শিক্ষাবিদ বাবু সাধন মিত্র সিংহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথের ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী বাবু স্বপন সিংহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জ্যোতিঃপাল মহাথের মৈত্রী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন সিংহ (মোহন)। সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথের ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুব্রত সিংহ।
প্রসঙ্গত, সংঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথের মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক সংগঠক, স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত। জাতিসংঘ তাকে বিশ্ব নাগরিক উপাধি দেন। তিনি ১৯১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার কেমতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। লাকসামের বরইগাঁও গ্রামে তার নামে সংঘরাজ জ্যোতি:পাল মহাথের বৌদ্ধ মহাবিহার কমপ্লেক্স রয়েছে। তিনি বাংলাদশের বৌদ্ধদের ১০তম ধর্মীয় গুরু সংঘরাজ। তিনি ২০০২ সালের ১২ এপ্রিল মারা যান।