সনাক কুমিল্লার উদ্যোগে কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ

 

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), কুমিল্লার উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস – ২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গতকাল ১৬ মার্চ ২০২২ সকাল ১১ টায় কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ফরিদা বিদ্যায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর প্রবীর কুমার দত্ত এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ফরিদা বিদ্যায়তন এর প্রধান শিক্ষক মো: হানিফ মজুমদার। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সনাক এর ইয়েস ও ইয়েস ফেন্ডস্ বিষয়ক উপকমিটির আহবায়ক বদরুল হুদা জেনু এবং ইয়েস ও ইয়েস ফেন্ডস্ সদস্যবৃন্দ। এই বারের জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ এর মূল প্রতিপাদ্য “বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুর জীবন হোক রঙ্গীন”। আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে সহকারী প্রধান শিক্ষক গোপা রানী লোধ বলেন ‘জাতির পিতা জন্মদিন পালন করতেন না। তিনি শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন। তার জন্মদিনটাতে তিনি শিশুদের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করতেন। ওইদিন শিশুরা দল বেঁধে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে যেত। এসব সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে তার জন্মদিনটাতে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।’ ইতিহাস বিকৃতির কারণে আমাদের বর্তমান প্রজন্ম এই বিষয় গুলো এতদিন জানতে পারেনি, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আমরা আজ আমাদের মহান নেতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করতে পারছি এবং এই বিষয়ে জানতে পারছি। ইয়েস ও ইয়েস ফেন্ডস্ বিষয়ক উপকমিটির আহবায়ক বদরুল হুদা জেনু বলেন ১৭ মার্চকে শিশু দিবস ঘোষণার কারণ হিসেবে জানা গেছে, শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দরদ ছিল অপরিসীম। তাই তার জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। অবশ্য ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হারানোর পর তৎকালীন বিএনপি সরকার শিশু দিবস পালন এবং সরকারি ছুটি বাতিল করে। ফলে ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দিবসটি পালিত হয়নি। এসময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিন ১৯ জানুয়ারিকে বিএনপি সরকার শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন শুরু করে। পরবর্তীতে নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে আবারও প্রতিবছর জাতীয় পর্যায় বড় আয়োজনের মাধ্যমেই এ দিবসকে পালন করে আসছে। সনাক সভাপতি রোকেয়া বেগম শেফালী বলেন,শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন অসামান্য গৌরবের। তাঁর এ গৌরবের ইতিহাস থেকে প্রতিটি শিশুর মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তার ভিত্তি গড়ে উঠুক এটাই জাতীয় শিশু দিবসের মূল প্রতিপাদ্য। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দরদ ছিল অপরিসীম। তাই তাঁর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। এদিনে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার নতুন শপথ নিতে হবে সবার। আলোচনা শেষে কুইজ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদে মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। কুইজ প্রতিযোগীতায় ১ম স্থান অর্জন পাপিয়া আক্তার করেন ২য় স্থান অর্জন করেন পূজা রানী সরকার ও ৩য় স্থান অর্জন করেন সুমাইয়া আক্তার।