নগরীতে বেড়েছে ভিক্ষুক

 

নগরীতে বেড়েছে ভ্রাম্যমাণ ভিক্ষুক। আদালত পাড়া থেকে রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়, সিএনজি অটো রিকশা ও ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা স্ট্যান্ড, মার্কেট, বাসা-বাড়ি এমনকি চলার পথেও ভিক্ষুকের উপস্থিতি বেড়েছে কয়েক গুণ। এনিয়ে গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদে উল্লেখ করা হয়,নগরীর পূবালী চত্বর । চারদিক থেকে মানুষ নিত্য প্রয়োজনে এই চত্বরে গাড়ি থেকে নামেন। দেখা যায়, যানবাহনের ভাড়া পরিশোধের জন্য টাকা হাতে নিলেই যাত্রীকে এক সাথে কয়েকজন ভিক্ষুক এসে ঘিরে ধরেন। এতে এক ধরনের বিভ্রান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। এমন চিত্র স্বাভাবিক হয়ে পড়েছে নগরীতে। এসব সাহায্য প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। নারী সাহায্য প্রার্থীদের ৯০ শতাংশের বয়স ৪৫ বছরের উর্ধ্বে। বার্ধক্যের তাগিদে নেমেছেন ভিক্ষাবৃত্তিতে। এমনি একজন সাহায্য প্রার্থী রহমুতেন্নেছা (৫২)। থাকেন সদরের মাঝিগাছায়। তিনি জানান, ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়েছেন পড়ার করুণ গল্প। বলেন, আগে মানুষের বাড়িতে কাজ করতাম। এখন বয়স হয়ে গেছে, তাই বাসা বাড়িতে কেউ কাজ দেয় না। এক মেয়ে মানুষের বাসায় কাজ করে। চা দোকানি স্বামী অসুস্থতার জন্য শয্যাশায়ী। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে চিত্রটা একেবারে ভিন্ন। অধিকাংশ শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়ান অভিভাবকেরা। পুরাতন চৌধুরী পাড়া মসজিদ গেইটে ৫ বছরের শিশু ফাহিম মুসল্লিদের থেকে সাহায্য জন্য আকুতি করছেন। দূর থেকে তার মা দাঁড়িয়ে তা দেখছিলেন। কথা হয় তার সাথে। স্বামী পরিত্যক্তা এই নারী জানান, ‘অসহায়ত্বের জন্য শিশুকে নিয়ে সাহায্যের জন্য বেরিয়েছেন’। তবে নগরীর টাউন হল, রেলওয়ে স্টেশন ও শাসনগাছা বাস স্টেশনে কিছু ছিন্নমূল শিশুদের দেখা যায় ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়াতে। যাদের অধিকাংই অভিভাবকহীন।

জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় ৮ হাজারের অধিক ভিক্ষুক রয়েছে। জাতীয় পরিচয় আছে এমন ভিক্ষুক নগরীতে মাত্র ৬৩ জন। তবে নগরীতে বহিরাগত ভিক্ষুকের সংখ্যা চার থেকে পাঁচশো হবে।
ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থী পলাশ দেবনাথ জানান, ‘শহরে বের হলেই ভিক্ষুকরা ঘিরে ধরেন। অনেক সময় চরম আকুতি করে গায়ে জড়িয়ে ধরেন। বাসা থেকে বের হলেই এমন ৩০-৪০ ভিক্ষুকের হাতে পড়তেই হয়।’
আমরা মনে করি,এবিষয়ে সরকারের আন্তরিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। যারা সুস্থ তাদের কাজের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। অসুস্থদের জন্য জীবন যাপনের মতো ভাতার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এছাড়া ভিক্ষাকে নিরুৎসাহিত করতে দানবীর,ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন।