সবাই গেছেন হাটে!

কুমিল্লার কোরবানির হাটে মানুষের ঢল

inside post

 নেউরার হাট সড়কের উপরে

অফিস রিপোর্টার।।
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদ-উল আযহা। কুমিল্লায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। কুমিল্লার তিন শতাধিক স্থায়ী-অস্থায়ী বাজারে চোখে পড়ছে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের উৎসব। বৃষ্টিতেও মানুষের ঢল নেমেছ বাজারে। এদিকে কিছু হাট সড়ক ও মহাসড়কে গড়ে উঠায় মানুষের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। কুমিল্লার বাগমারা বাজার মহাসড়কে বসেছে। নগরীর নেউরা পশুর হাট সড়কের উপরে।
বাজার ঘুরে জানা যায়, ছোট গরু গুলোতে দাম বেড়েছে গত বছরে তুলনায় ১০-২০ হাজার। সে তুলনায় কম বেড়েছে মাঝারি আকারের গরু গুলোতে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর হাট গুলোতে কোরবানির পশুর উপস্থিতি বেশি। কৃষকের গরুসহ বড় খামারিরা বাজারে নিয়ে এসেছেন কোরবানির পশু। এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে ট্রাক যোগে কুমিল্লার বাজার গুলোতে গরু নিয়ে আসতে দেখা গেছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে জেলায় কোরবানির উপযোগী পশু রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯৮টি। জেলায় কোরাবনির পশুর চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২টি। সে হিসেবে জেলায় ৯ হাজারের অধিক কোরবানির উপযোগী পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।
এদিকে কোরবানির হাটের পাশাপাশি খামার গুলোতেও ক্রেতাদের দেখা গেছে। ছোট ও মাঝারি আকারের কুমিল্লার ১৭টি উপজেলায় দুই শতাধিক খামার রয়েছে। এসব খামারে বড় গরু বেশি। কুমিল্লার খামার গুলোতে এক লাখ থেকে ৮ লাখ টাকার মূল্যের গরু রয়েছে। খামারিরা বলছেন, পশু খাদ্যের দাম বাড়ায় এবছর গরুর দাম বিছুটা বাড়তি।
বরুড়ার হানিফ এগ্রো’র স্বত্তাধিকারী আবু হানিফ ২৫০ গরু প্রস্তুত করেছেন তার খামারে। সেখানে স্বাভাবিক দর-দামের পাশাপাশি ওয়েট অনুসারেও বিক্রি করেন গরু। তিনি বলেন, ‘খামারে গরু বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। গ্রাহকরা পছন্দের গরু কিনতে পারছেন। ইচ্ছে হলে কিনে খামারে রেখে যাচ্ছেন। আমরা ঈদের আগের দিন গ্রাহকদের বাড়িতে পৌছে দিবো’।

তবে খামারে গরু বিক্রির প্রভাব বাজারে পড়ছে না বলে জানিয়েছেন একাধিক গরুর হাটের ইজারাদার। তারা বলেন, এবারের ঈদ বাজারে ব্যাপক পশুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মানুষেরও ভিড় হচ্ছে। খামার গুলোতে মানুষ পশুর বাজার দাম নিয়ে দ্বিধায় থাকে। তাই তারা বাজারমুখী।
বাংলাদেশ ডেইরি এসোসিয়েশন কুমিল্লার আবদুল আজিজ বলেন,মঙ্গলবার স্থানীয় ভুশ্চি বাজারে ৫৫ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা দামের ১০টি গরু নিয়ে এসেছি। দুইটি বিক্রি হয়েছে। ক্রেতারা কম দামের গরু চান। কিন্তু খাদ্যের মূল্য বেশি। তাই কম দামে বিক্রির সুযোগ নেই। তিনি বলেন,শেষ পর্যন্ত বাজার স্থিতিশীল থাকবে।
কুমিল্লা পুলিশ আবদুল মান্নান জানান, কোরবানির বাজারে নিরাপত্তা দিতে আমাদের বিশেষ টিম রয়েছে। এছাড়া যেকোনো সহায়তার জন্য হটলাইন খোলা হয়েছে।

আরো পড়ুন