নগরীতে ভরাট হচ্ছে শতবর্ষী পুকুর,পরিবেশের মামলা

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা নগরীর শতবর্ষী নারায়ণ পুকুর ভরাট চলছে। নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকার নমশুদ্র পাড়ায় এই পুকুরের অবস্থান। এর জমির পরিমাণ এক একরের বেশি। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ ও জলাধার সংরক্ষণ আইনের কোনো তোয়াক্কা না করেই নগরীর শত বছরের পুরনো পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছিল।
এদিকে আবু ফয়সাল রায়হান নামের এক ব্যক্তিকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব। অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট মো. রায়হান মোর্শেদ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব জানান, নারায়ণ পুকুরের ৩৪ শতাংশ ভরাটের অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়েছে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পুকুর ভরাটের বিষয়ে অধিদপ্তরে অভিযোগ আসে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে গিয়ে ভরাটের সত্যতা পান পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পুকুরের জমির মালিক দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকার নমশুদ্র পাড়ার মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবু ফয়সাল রায়হানকে পুকুরটি ভরাট বন্ধ করে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে পরপর দুটি চিঠি দেওয়া হয়। গত ৩ এপ্রিল তাকে পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ে হাজির করে দ্রুত ভরাটকৃত মাটি অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি তা করেননি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন,পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুকুরের বিকল্প নেই। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা নগরীর পুকুর। এবিষয়ে প্রশাসনকে আরো কঠো ভূমিকা নিতে হবে।
উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব বলেন, ভরাটকারীদের বারবার পুকুর ভরাট বন্ধ করে মাটি সরানোর জন্য বলেছি। কিন্তু তারা কোনো নির্দেশনাই মানেননি। তাই পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে আবু ফয়সাল রায়হানকে প্রধান আসামি করে এ মামলা করা হয়েছে। এছাড়া সংরাইশের একটি পুকুর ও ঝারু পুকুর নিয়ে মামলা দেয়া হয়েছে। হাতি পুকুর নিয়েও মামলা দেয়া হবে।