সমান পয়েন্ট নিয়ে কুমিল্লা ছাড়লো আবাহনী-মোহামেডান

 

আমোদ প্রতিবেদক।।

একসময় দেশের ফুটবল বলতেই মানুষ বুঝতো আবাহনী ও মোহামেডান। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঐতিহ্যের সেই আমেজই ফুটে উঠেলো কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ফুটবল টুর্নামেন্টে কুমিল্লার ধর্মসাগর পাড়ে ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী ক্লাব দুটি। কুমিল্লার মাঠে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল আবাহনী বনাম মোহামেডানের খেলা দেখতে দর্শকদের উপচেপড়া ভীড় ছিলো লক্ষণীয়। খেলা শেষে আনন্দ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন খেলোয়াড় ও দর্শকরা। টান টান উত্তেজনায় খেলাটি ২-২ এ ড্র হয়।
প্রিয় দলের খেলা দেখতে বৃহস্পতিবার দুপুরের আগেই স্টেডিয়ামে আসতে থাকেন দর্শকরা । বেলা ৩টায় খেলা শুরু হয়। তবে খেলা শুরু হওয়ার আগে থেকেই দর্শকের ভীড় বাড়তে থাকে গ্যালারিতে। প্রিয় দলের জার্সি পড়ে মাঠে উৎসাহ যোগান দর্শকরা। তাদের মুহর্মূহ স্লোগান ও করতালিতে গোটা স্টেডিয়াম এলাকায় উৎসবের আমেজ দেখা যায়। বাঁশি ঢোল নিয়ে পুরো ৯০ মিনিট উদ্বেলিত থাকে দর্শকরা।

তবে শুরুতেই আঘাত করে বসে আবাহনী। খেলার ১৪ মিনিটে মাঝ মাঠ সাইঘানির শটে মাথা এগিয়ে দেন বেল। এরপর ফের মাথা বাড়িয়ে বল গোল পোস্টে পাঠান তোরেস। তবে গোল শোধ দিতেও দেরি করেনি মোহামেডান। ১৮ মিনিটে বাপ্পির শটে পা বাড়িয়ে গোল শোধ করেন মালির স্ট্রাইকার সলমন। তবে সাদা-কালোদের মাঠে জয় নিয়েই ফিরবে আবাহনী এমনি বুঝি প্রত্যয়। তাই ৩৩ মিনিটে বাপ্পির বাড়ানো বলে গোল দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন জুয়েল রানা। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকলেও আর গোলের দেখা পায়নি কোন দল। শেষ পর্যন্ত ২-১ এ এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে আবাহনী। বিরতি থেকে ফিরেই গোল শোধ দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কালো-সাদারা। দেশের পুরনো ক্লাবটি ব্যর্থ হয়নি। ৬৮ মিনিটে সোহাগের কর্নার থেকে শটে দলকে সমতায় ফেরান সলমন। তবে এরপর শত চেষ্টা করেও আর গোলের দেখা পায়নি আবাহনী। এতেই মোহামেডানের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগ করে নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো আবাহনীকে।

খেলা দেখতে ৪০ কিঃমি দূরের উপজেলা হোমনা থেকে এসেছেন ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামান পাপলু। এছাড়াও জেলার দাউদকান্দি উপজেলা থেকে এসেছেন আবু কাউছার। স্টেডিয়াম থেকে দাউদকান্দির দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিঃ মি। তিনি জানান নিজ জেলার স্টেডিয়ামে বসে জাতীয় ক্লাবের খেলা দেখবো না তা কি করে হয়।

আবু কাউছার জানান, ফুটবলের প্রতি তার ভীষণ টান। আবু কাউছার রড সিমেন্টের ব্যবসা করেন। তবে সুযোগ পেলেই ঢাকায় গিয়ে স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন। আজকের খেলাটি খুবই উপভোগ্য ছিলো বলে জানান তিনি।

নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার মুদি দোকানী সজিবুল ইসলাম। খেলা দেখার জন্য ছোট ভাইকে দোকানে বসিয়ে রেখে স্টেডিয়ামে চলে আসেন। মোহামেডানের এই ভক্ত জানান, খেলাটি ড্র হলেও আজ তার প্রিয় দল মোহামেডান চমৎকার খেলেছে।