সরাইল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নাজমুল হোসেন-শিউলী আজাদ

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আমাদেরকে রাজনীতি করতে হবে গ্রুপিংমুক্ত হয়ে। রাজনীতি করতে হলে বিষয়টিকে বিবেচনা করতেই হবে।প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকার মনোনয়ন দিবেন, তাঁকে জয়ী করার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি কোনোভাবেই থেমে থাকতে পারে না।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এম.পি এসব কথা বলেন।
মায়ানমারকে হুশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, রামুসহ পার্বত্য অঞ্চলকে সুসংগঠিত করা হয়েছে। আমাদের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারকে বলেছি, আমরা তাদের সঙ্গে কোনো বিরোধে যেতে চাই না। তাদের বিষয়ে নাক গলাতে চাই না। আমরা তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। কিন্তু মগের মুল্লুক নিজের আঞ্চলিক সমস্যার কারণে কিছু কিছু সমস্যা সৃষ্টি করছে। আমরা দ্যর্থহীনভাবে বলেছি নিজেদের সমস্যা নিজেরা সমাধান করুণ। তাঁদের সমস্যার কারনে সীমান্তে গুলি ছোঁড়া হলে, আমরা বরদাশত করব না। আমরা শান্তি চাই।
দীর্ঘ ১৮ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলো। সম্মেলনে শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন নেতাদের নাম ঘোষনা করা হয়। এতে সভাপতি হয়েছেন অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ)। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের ছেলে সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বীকে। জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তাদের নাম ঘোষনা করেন। এরই সাথে নেতৃত্ব নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা এবয় আলোচনার অবসান হয়।
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সরাইল অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি। সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে  বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উম্মে ফাতেমা বেগম শিউলী আজাদ এম.পি। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় জাতীয় সংসদের হুইপ স্বপন আরো বলেন, আমাদেরকে গ্রুপিং মুক্ত রাজনীতি করতে হবে। বিষয়টি আপনারা বিবেচনা করবেন। সরাইলে আমি কিংবা মোকতাদির চৌধুরী ভোটের রাজনীতি করতে আসবেন না।  প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকার মনোনয়ন দিবেন, তাঁকে জয়ী করার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি কোনোভাবেই থেমে থাকতে পারে না। যারা সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি প্রয়াত ইকবাল আজাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং যারা এই মামলার অভিযোগপত্র ভূক্ত আসামী হয়েছেন, তাদের কাউকেই আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ে স্থান দেওয়ার সুযোগ আমাদের নেই। যারা ইকবাল আজাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় কিন্তু বিভিন্ন কারণে, রাজনৈতিক বিভক্তির কারণে হয়তো ভিকটিম হয়েছেন তাঁদেরকেও রাজনীতি থেকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত ও অভিযোগপত্র ভূক্ত আসামী তাদের ক্ষেত্রে আমরা কঠোরতম অবস্থান গ্রহণ করেছি। এই অবস্থান আমাদের অব্যাহত থাকবে। এই অবস্থান থেকে আমরা নড়ব না। সম্মেলনে দলের ঐক্যের জন্য তাগিদ দেন কেন্দ্রীয় ও জেলারা নেতারা। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে আসনটি দলকে উপহার দিতেও তাগাদা দেওয়া হয়।