সিঁড়িতে হাসছে লাকিব্যাম্বু- ডাইনিংয়ে খেলছে মানিপ্ল্যান্ট

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা নগরীতে বাসা সাজানোতে বেড়েছে গাছের চাহিদা। নগরীর অনেক বাসার সিঁড়িতে হাসছে লাকিব্যাম্বু, ডাইনিং টেবিলে খেলছে মানিপ্ল্যান্ট। ঘরে গাছ থাকলে সবুজে মন ভালো হয় তেমনি ঘরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। এতে পরিবেশের অক্সিজেনের চাহিদাও মিটে বলে জানান সচেতনরা।


কুমিল্লা নগরীর বাসার ভেতরে ও বারান্দায় শোভা পাচ্ছে ফিলোডেনড্রন, পথোস যা মানিপ্ল্যান্ট নামে সুপরিচিত, ড্রেসিনা, লাকিব্যাম্বু, এরয়েড, ফিডল লিফ ফিগ, পাম প্রজাতির কিছু গাছ, সিংগোনিয়াম, এনথুরিয়াম, ক্যাকটাস ও সাকুলেন্ট। পানিতে বাঁচতে পারে পথোস, লাকি ব্যাম্বু ও ড্রেসিনা ইত্যাদি। মাটিতে লাগানো যায় আইভি লতা ও ফিলো ডেন্ড্রন ইত্যাদি।
নগরীর কয়েকটি বাসায় গিয়ে দেখা যায়, সিঁড়িতে হাসছে লাকিব্যাম্বু, ডাইনিং টেবিলে খেলছে মানিপ্ল্যান্ট, ওয়ারড্রবের ওপরে পা দোলাচ্ছে এনথুরিয়াম। বারান্দায় ঝুলছে ক্যাকটাস ও সাকুলেন্ট। ৫ কিংবা ৭ম তলার বারান্দায় গাছের দুলনি নিচ থেকে দেখেও চোখ জুড়িয়ে যায়। যেন গাছ গুলো পথচারীদের হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।


কুমিল্লার অনলাইন ভিত্তিক ছাদকৃষি, বাগান ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. আবু মোহাম্মদ নাঈম বলেন, ঘরের গাছ মানেই এদের সূর্যের আলো দরকার নেই এমন না। সব গাছের আহার প্রস্তুত করতে সূর্যালোক প্রয়োজন। তাই অন্দরের গাছের সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন হালকা সকালের আলোয় রাখতে হবে। দুপুরের আলোতে অনেক গাছের পাতা পুড়ে যেতে পারে। পানিও দিতে হয় গাছে মেপে। মাটি শুকিয়ে গেলে পরে পানি দিতে হয়।
নগরীর বৃক্ষপ্রেমী মোজাম্মেল আলম ও কৃষি এবং পরিবেশে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগঠক মতিন সৈকত বলেন, করোনার পরে নগরীর অনেক বাসা সবুজে সেজেছে। সবুজে মন যেমন ভালো হয় তেমনি সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। এতে পরিবেশের অক্সিজেনের চাহিদাও মিটে।