সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বলায় ইমামকে মাইকের স্ট্যান্ড দিয়ে মারধর

মাসুমুর রহমান মাসুদ,চান্দিনা।।
মসজিদে জুম্মার নামাজের খুৎবায় সুদ-ঘুষের আলোচনার জের ধরে ইমামকে মাইকের স্ট্যান্ড দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় রবিবারও উত্তেজনা বিরাজ করছে। চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর ইউনিয়নের বানিয়াচং গ্রামের খন্দকার বাড়ির জামে মসজিদের হুজরা খানায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার জের ধরে ইমামের সমর্থকরা কয়েকটি ঘর ভাঙচুর করে। আহত ইমাম মো. হাসান মুরাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার দড়িকান্দি এলাকাবার বাসিন্দা। তিনি চান্দিনার বানিয়াচং খন্দকার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম।
হামলাকারীরা হলেন- চান্দিনার বানিয়াচং গ্রামের মৃত মোহর আলীর ছেলে মো. নূরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন। নূরুল ইসলাম ওই মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। জাকির হোসেন খোববাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।
জানা যায়, ওই মসজিদের ইমাম শুক্রবার খুৎবায় সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করেন। এসব বয়ানে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ওই মসজিদ থেকে তাড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এলাকার এক ইউপি মেম্বার ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক। মসজিদের মাইকের স্ট্যান্ড দিয়ে তাকে মারধর করে। এদিকে এ ঘটনার পর শনিবার সন্ধ্যায় ইমামের উপর হামলাকারী দুই শিক্ষক ও ইউপি মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা।
ইমাম মো. হাসান মুরাদ জানান, আমি সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলি। আর এটাকে কোন ভাবেই মানতে পারছে না হাতে গোনা কয়েকজন। আমি তাদেরকে অনুরোধ করে বলেছি, আমি রমজান মাস থেকে নিজেই চলে যাবো। কিন্তু তারা আমাকে মারধর করে কক্ষে থাকা নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এ ঘটনার বিষয় অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম মাস্টার জানান- ওই ইমামকে এলাকার বেশ কিছু মানুষ ভালভাবে গ্রহণ করছেনা। মুসল্লিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। শনিবার তাকে আমরা বুঝিয়ে বিদায় করতে গেলে সে আমার চোখে আঘাত করে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা জানান, ইমামকে মারধরের ঘটনার পর এলাকাবাসী কয়েকজনের বাড়িতে হামলা করেছে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

inside post
আরো পড়ুন