স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা

শাবল দিয়ে আঘাত করে শুক্কুর,বালিশ চাপা দেয় ফাতেমা
মাহফুজ নান্টু। 
কুমিল্লার চান্দিনায় পুকুর থেকে যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরকীয়ার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশ জানায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার গাবুর গাঁও গ্রামের ফাতেমা বেগম ও তার স্বামী শুক্কুর আলী।
শুক্রবার কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাবিকদের এসকল তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ট্রাফিক) মোঃ নাজমুল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল জানান,  ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের করতলা গ্রামের ছাড়াগাঁও নামক এলাকা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম মো. আরিফ হোসেন (৩০)। পেশায় রাজমিস্ত্রি আরিফ  সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের আলাই মিয়ার ছেলে।
আরিফের সাথে গ্রেফতারকৃত চার সন্তানের জননী ফাতেমা বেগমের পরকীয়া ছিলো। এক মাস পূর্বে ফাতেমা বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে  আরিফের ভাড়া বাড়িতে চলে আসে। উভয়ে এক মাস স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকার পর ফাতেমা বুঝতে পারে আরিফ তাকে বিয়ে না করে প্রতারণা করছে।
তাই সে তার পূর্বের স্বামী শুক্কুরকে  তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত বলে জানায়৷ পরে স্বামী স্ত্রী মিলে আরিফকে উচিৎ শিক্ষা দেবে বলে পরিকল্পনা করে।  গত ৭ আগস্ট রাতে ওই ভাড়া বাসায় আসে শুক্কুর। খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। রাতে আরিফ বাসায় এসে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এ সময় খাটের নিচ থেকে বের হয়ে আসে শুক্কুর। প্রথমে লোহার শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে শুক্কুর।  আরিফকে   বালিশ চাপা  দেয় ফাতেমা ।
এ ঘটনায় নিহত আরিফের বড় ভাই তারিছ আলী বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  এ ঘটনায় ১০ আগস্ট রাতে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ওয়াহিদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুক্রবার গ্রেফতারকৃত আসামিদের কুমিল্লা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( দাউদকান্দি সার্কেল)  এনায়েত কবীর শোয়েব, চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাহাবুদ্দিন খান।